সিটিসেল হঠাৎ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজের ডিসপ্লে পিকচার বা ডিপি পরিবর্তন করেছে। যদিও এটি তাদের ওয়ালে শো করানো হয়নি। বলা যায় অনেকটা গোপনেই প্রতিষ্ঠানটি তাদের ফেসবুক পেজের ডিপি পরিবর্তন করেছে। এর ফলে নেটিজেন ও ব্রান্ড নিয়ে কাজ করেন এমন লোকজনের কাছে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাহলে কি প্রতিষ্ঠানটি আবার অপারেশন শুরু করতে যাচ্ছে। ২০১৬ সালের শেষদিকে বন্ধ হয়ে যায় ১৯৮৯ সালে যাত্রা শুরু করা দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল।
সিটিসেলের পেজ গেঁটে দেখা যায় প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তনের আগে তাদের সর্বশেষ পোস্ট ছিলো ২০১৬ সালের ৭ই জুলাই। হঠাৎ পেইজের প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন নিয়ে নেটিজেনরা ছবিটিতে নানা মন্তব্য করছে । আব্দুল্লাহ আল জাবের নামের একজন লিখেছেন ” ফিরে আসুন” । জুবাইয়ের নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন “Love you Citycell.. Come Back..Give us a vintage taste of telecommunication.”। আবার ফিরে আসার প্রত্যাশার পাশাপাশি অনেকে সিটিসেল অপারেটর নিয়ে নিজেদের স্মৃতি রোমান্থন করেছেন। নূর আলম নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারি লিখেছেন “প্রথম মোবাইল ( আম্মা কিনে দিয়েছিল) প্রথম সিটিসেলের সিগনেচার রিংটোন। আহ্ নষ্টালজিক… কত শত স্মৃতি….. নাম্বারটাও মনে আছে..ফিরে আসুক সিটিসেল ” এরকম প্রায় ২৬৪ টি কমেন্ট দেখা যায় পোস্টটিতে,যার প্রায় সবগুলোই ইতিবাচক।
সিটিসেল বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর ছিল। ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এটি বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম মোবাইল ফোন অপারেটর তিনটির একটি। এটিই দেশের একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল অপারেটর। আগস্ট ২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৭ লক্ষ। সিটিসেলের ৪৫% সিংটেল-এর মালিকানায় এবং ৫৫% মালিকানায় ছিলো প্যাসিফিক গ্রুপ ও ফার ইস্ট টেলিকমের। ২০০৭ সালের শেষের দিকে সিটিসেল নতুন লোগো উন্মোচন করে। গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি ছিল। ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিটিআরসি কোম্পানিটির কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এ সময় এর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ লাখের কিছু বেশি। ৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিটিসেলের তরঙ্গ আবার খুলে দেওয়া হয়। যা ৬ নভেম্বর আবার বন্ধ করা হয়।