একজন হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারী এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইলে সিম স্থানান্তরিত করলে পূর্বের মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বরটির নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন। আর এই সেবার দেখা মিলতে পারে চলতি বছরের শেষের দিকে।
১২ জুন, বুধবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ক গণশুনানিতে এক প্রশ্নের উত্তরে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
ধারণা করা হচ্ছে, বিটিআরসির ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) প্রকল্পের অধীনে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির ওই কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে সিম নম্বর, মোবাইলের আইএমইআই নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংরক্ষিত থাকবে।
তার ভাষ্য, ‘আপনি যখন সিমটি ডিভাইস থেকে নিয়ে যাবেন তখন সিমের সঙ্গে ডিভাইসের যে আইএমইআই নম্বরটি রয়েছে তা ডিরেজিষ্ট্রেশন (নিবন্ধন বাতিল) করতে হবে। যদি ডি-রেজিরস্ট্রেশন করার পর অন্য কেউ ওই সেটটি ব্যবহার করে নীতি বহির্ভূত কাজ করেন তখন ডি-রেজিস্ট্রেশনকারী দায়ী থাকবেন না। সেই সুযোগটা কমিশনের পক্ষ থেকে এই বছরের শেষের দিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
অপরদিকে গ্রাহকদের ঠকিয়ে মোবাইল অপারেটররা যাতে অতিরিক্ত অর্থ কেটে না নিতে পারে এজন্য বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে থাকা সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমের সুবিধার দেখা এ বছরেই দেখা মিলতে পারে। গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিটিআরসির অপর এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
ওই কর্মকর্তা জানান, বিটিআরসি থেকে সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম নামে একটি সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরের সুইচ এবং আইএমইআই এর ভেতরে যত রকমের কল, প্রত্যেকটি ব্যক্তি কখন কোথায় কল করছে, কত সেকেন্ড কল করেছে, তার চার্জ কত হয়েছে সব কিছুই বিটিআরসি থেকে মনিটর করা যাবে।
তিনি বলেন, ‘এই সিস্টেমটি এ বছরেই চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে কোনো অভিযোগ আসলেই বিটিআরসি থেকে তা পরীক্ষা করে দেখা যাবে যে এখানে কোনো ধরনের ফাঁকি দেওয়া হয়েছে কিনা। এতে বিটিআরসি কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে।’