বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরনির্ভরশীল দূর হয়েছে। সরকার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সারা বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে যা যা প্রয়োজন সরকার তাই করছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক সম্প্রচারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এসময়, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অনেক বাধা দূর হবে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে অনেকেই ঠাট্টা করেছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। গণমাধ্যমকে সরকারের সমালোচনা করলেও অপপ্রচার ও মানুষের মধ্যে অস্থিরতা ছড়ায় এমন কিছু না করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিরুদ্ধে কথা না বললে আকর্ষণ থাকবে না—এমন ধারণা প্রচলিত আছে। আপনারা সেটা করতে পারেন, তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে মিথ্যা অপপ্রচার যেন না হয় দয়া করে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। মিথ্যা অপপ্রচারে দেশের মানুষের মধ্যে সন্দেহ হয়। এমন কিছু করবেন না যাতে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশের জন্য আমরা অন্তত কিছু কাজ তো করেছি। সেটা তো অস্বীকার করতে পারবেন না। সেটা একটু প্রচার করবেন। যেটুকু ভালো কাজ করেছি সেটুকু প্রচার করুন, এটুকু আমি চাইতেই পারি। তথ্যগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন। যাতে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। সেদিকে দৃষ্টি রেখে কাজ করবেন।’
দেশের ৩৪টি টেলিভিশন চ্যানেলের সবক’টির বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বাণিজ্যিক সেবা গ্রহণ করবে। আগামী আট বছরের মধ্যে দেশীয় বাজার থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পুরো টাকা উঠে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিসিএসসিএল জানায়, স্যাটেলাইট-১-এর সামর্থ্যরে ৪০ শতাংশ বিক্রি করা হয়েছে। টিভি চ্যানেল গুলোর খরচ কমিয়ে আনতে আর্থ ষ্টেশন স্থাপনের পরিবর্তে, এর গ্রাউন্ড ষ্টেশনের সঙ্গে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে বিসিএসসিএল সকল টিভি চ্যানেলকে সংযুক্ত করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস গত নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর নিয়ন্ত্রণ কর্তৃত্ব বিসিএসসিএল’র কাছে হস্তান্তর করে। ২০১৮ সালের ১২ মে ফ্লোরিডা থেকে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়।বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হতে বাংলাদেশের ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা খরচ হয়।