সমাজের অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর পাশাপাশি ফেসবুক এখন একটি সমাজের পঞ্চম স্তম্ভের কাজ করছে বলে দাবি করেছেন ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বাকস্বাধীনতা বিষয়ক এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। পরে সেটি তার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে নোট হিসেবে পাবলিশ করা হয়।
জাকারবার্গ বলেন, আমি যখন কলেজে ছিলাম আমাদের দেশ ইরাকে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। ক্যাম্পাসজুড়ে দেখেছি আস্থাহীনতার পরিবেশ। মনে হচ্ছিল, গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে আমরা কাজ করছি। মৃত সৈনিকের সংখ্যা, তাদের পরিবারের দুর্দশা ও জাতীয় মনোভাব ছিল চরমে। আমরা সবাই খুব অসহায় বোধ করছিলাম।
এরপরই ফেসবুকের প্রাথমিক ভার্সন তৈরি করেন জানিয়ে জাকারবার্গ বলেন, আমি দেখতে চেয়েছিলাম ক্ষুদ্র পরিসরে মত প্রকাশের এ সুযোগ কিভাবে কাজ করে।
তার মতে, ফেসবুক সরাসরি মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। মানুষকে মুক্তভাবে কথা বলার ক্ষমতা দিয়েছে ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে তাই সমাজের পঞ্চম স্তম্ভ বলেও দাবি করেন তিনি।
মূলত, বেশ কিছু রাজনীতিবিদের ফেসবুক বন্ধের প্রস্তাবের জবাবেই এসব কথা বলেন মার্ক জাকারবার্গ।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে সরাসরি মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। তাই মানুষকে এখন আর গতানুগতিক রাজনীতিকদের দেখানো মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতে হবে না। এখানে বাকস্বাধীনতা, আইন, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তির সংমিশ্রণের একটি ভিন্নধর্মী প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফেসবুক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রাইভেসি রক্ষায় ব্যর্থ বলে অভিযোগ উঠছে। মার্কিন সিনেটর কমলা হ্যারিস ও এলিজাবেথ ওয়ারেনসহ একাধিক আইনপ্রণেতা ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে কথা বলেছেন।