বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে কর্মরত একজন আনসার সদস্যের মৃত্যুতে ‘করোনা’ আতঙ্ক বিরাজ করছে আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিসিসি-তে কর্মরত একজন আনসার সদস্যের স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আনসার ও ভিডিপি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জোনের পরিচালকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
রোববার (১৫মার্চ) সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে কর্মরত এক আনসার সদস্য রেজাউল করিম সর্দি-কাশি ও জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে গত ৪ মার্চ ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যান। পরে তিনি ১১ মার্চ মারা যান। তার গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার কেবশপুর গ্রামে।
এছাড়া এ টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রকল্পের ৩০টি কার্যালয় রয়েছে। যে কারণে এ টাওয়ারে প্রতিদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ৩ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে লিফটে উঠতেও অনেকে ভয় করছে। লিফটের পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করছেন অনেকেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইসিটি বিভাগের একজন উপ সচিব জানান, সম্প্রতি একটি দল দক্ষিণ কোরিয়া সফর করে এসেছে। ওই সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছিলো। তাছাড়া উনারা দেশে ফিরে কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে অফিস করা শুরু করেছেন। ভ্রমণকারী অনেকেই এসময় সর্দিকাশিতে আক্রান্ত ছিলেন।
আরেকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান এই ভবনে বিদেশী অনেক প্রতিনিধির যাতায়াত আছে ভাইরাস ছড়ানোর জন্য এটিও অন্যতম কারণ হতে পারে।
চিঠিটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; ঢাকার জেলা প্রশাসক; ঢাকা, রংপুর ও সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন, রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ও সিনিয়র সচিবকেও দেয়া হয়েছে।
চিঠিতে আইসটি টাওয়ার ‘ক’শ্রেণীর কেপিআইভূক্ত স্থাপনা হওয়ায় বিষয়টি বিশেষ দৃষ্টিতে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ১২ মার্চ এই চিঠিটি লেখেন বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব।