রাজধানীতে পরিকল্পনাহীন তার অপসারণে শুধু অর্থনীতি নয়, দাফতরিক কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। কেবল অপারেটরেরা ধর্মঘট শুরু করলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ। আলোচনার মাধ্যমে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে সবপক্ষ।
নানা আপত্তি, অসুবিধা জানানোর পরও থেমে নেই রাজধানীতে চলছে ঝুলন্ত তার অপসারণ অভিযান। করা হয়নি বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও। ইন্টারনেট কিংবা স্যাটেলাইট সংযোগ সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পড়েছেন রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ। লোকসানে পড়ে রোববার (১৮ অক্টোবর) থেকে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে সারা দেশে ইন্টারনেট ও কেবল টিভি সেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেবাদাতারা।
করোনা সংকট মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতির স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে সারাবিশ্বই নির্ভর করছে অনলাইন যোগাযোগের ওপর। এ অবস্থায় হঠাৎ করে তার অপসারণে স্থবির হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক ও দাপ্তরিক নানা কাজকর্ম। দেশের দুই শেয়ারবাজারের লেনদেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমনকি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যক্রমও হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট না পেলে বন্ধ থাকবে এটিএম সেবাও। এতে শত শত কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্রযুক্তিবিদরা।
এদিকে, ১৭ অক্টোবরের মধ্যে চলমান সমস্যা সমাধানের সিটি করপোরেশন সময়সীমা বেধে দিয়েছেন, ইন্টারনেট ও ডিস সেবা প্রদানকারী দুটি সংগঠনের নেতারা।