অনলাইন ভিত্তিক ফুড ডেলিভারি সেবার বাজারে নিজেদের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে ই-ফুড। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক বছর সময়ে দেশের বাজারে দ্বিতীয় অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে দেশিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি’র এই সহযোগী প্ল্যাটফর্ম ই-ফুড। নিজেদের প্রথম এক বছরে অন্তত ৫৪ লাখ ফুড অর্ডার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (১২ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয় ইভ্যালি’র পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ১২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে ই-ফুড যার অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে তারা। বিশেষ করে করোনা মহামীর সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের কাছে খাবার পৌঁছে সুনাম অর্জনে সক্ষম হয় ই-ফুড।
এতে আরও বলা হয়, নিজেদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে খাবারের ওপর আকর্ষণীয় অফারের ঘোষণা দিয়েছে ই-ফুড। শনিবার (১২ জুন) ই-ফুডে সকল অর্ডারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় পাবেন গ্রাহকেরা। একই সাথে ইভ্যালি হিরো রাইডাররা প্রতিটি সফল ডেলিভারিতে ই-ফুড এর পক্ষ থেকে দ্বিগুণ ডেলিভারি ফি পাবেন। এছাড়াও ভোজনরসিকদের জন্য ‘ফুড গিফট কার্ড’ এবং প্রতি বৃহস্পতিবার খাবার অর্ডারের ওপর আকর্ষণীয় অফার নিয়ে ‘থার্স ডে নাইট’ আয়োজন করে আসছে ই-ফুড।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, করোনাকালীন সময়ে ই-ফুড এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেসময় লকডাউনে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছিলেন তাই রাইডার পাওয়া এবং রেস্টুরেন্টগুলোকে আমাদের প্ল্যাটফর্মে আনা; দুটোই খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেইসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার সরবরাহ করাটা করোনা সময়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ইভ্যালি হিরো, রেস্টুরেন্ট পার্টনার এবং সর্বোপরি গ্রাহকদের সহযোগিতায় সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি। এত অল্প সময়ে আমাদের এতটা সহযোগিতা তারা করেছেন; আমাদের ওপর আস্থা রেখেছেন।
খাবার সরবরাহের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ই-ফুড। ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, ২৩ জন সদস্য নিয়ে ই-ফুড এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন সেখানে পূর্ণকালীন ৮৫ জনসহ ফ্রিল্যান্সার মিলিয়ে পাঁচ হাজারের অধিক কর্মী নিয়োজিত আছেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ এবং গাজীপুরসহ আটটি শহরে ই-ফুড এর অপারেশনস রয়েছে যার পরিসর আরও বাড়ানোড় পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। খাবার নিয়ে গ্রাহকদেরকে আমরা ‘ওয়ান পয়েন্ট সলিউশন’ দিতে চাই। সেক্ষেত্রে তাদেরকে সেরা সেবাটি দিতে আমাদের আরও লোকবল প্রয়োজন হবে ফলে এখানে আরও কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
ই-ফুড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোও ব্যবসার দারুণ সুযোগ পায়। গেল এক বছরে, ই-ফুডে নিবন্ধিত পাঁচ হাজারের বেশি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে প্রায় ৫৪ লাখ অর্ডার গ্রাহকদের কাছে ডেলিভারি করেছে ই-ফুড।