শুরুতেই দুটো কথা বলে রাখি। প্রথমত, ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ইনস্টল করার খরচ কম নয়। অন্যান্য ম্যালওয়্যারের মতো এটি গণহারে ছড়িয়ে দেওয়া হয়নি। তাই আপনার ফোনে পেগাসাস থাকতে পারে ভেবে আতঙ্কে তটস্থ হয়ে থাকবেন না। দ্বিতীয়ত, এখানে যে পদ্ধতিতে স্মার্টফোনের ডেটা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে, তার জন্য বেশ খানিকটা কারিগরি জ্ঞানের প্রয়োজন। সেটাও মাথায় রাখা জরুরি।
ইসরায়েলের এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের স্মার্টফোনে আড়ি পাতা হয়। সেই ঘটনা একযোগে প্রকাশ করে ১৭টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। সেই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো তৈরিতে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই মানবাধিকার সংগঠনই স্মার্টফোনে পেগাসাসের উপস্থিতি পরীক্ষা করার টুলকিট দিয়েছে। সেটির নাম মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট, সংক্ষেপে এমভিটি। সঙ্গে ব্যবহারের বেশ লম্বা–চওড়া নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি।
অ্যাপলের আইওএস এবং গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত ডিভাইসে কাজ করে মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট। তবে অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় আইফোনে যে বেশি নির্ভুল ফল পাওয়া যায়, তা অ্যামনেস্টির নির্দেশিকায়ই বলা হয়েছে।
দ্য ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুলকিটটি ব্যবহার করতে চাইলে ভিন্ন একটি কম্পিউটারে স্মার্টফোনের ডেটার ব্যাকআপ নিয়ে সেই ব্যাকআপে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাতে হবে। আর সে কাজে কমান্ড লাইন ব্যবহার করতে হবে। বেশির ভাগ অপারেটিং সিস্টেমে কাজটি করা গেলেও নির্দেশিকায় অ্যাপলের ম্যাকওএস কিংবা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ বলা চলে, কারিগরি দক্ষতার পাশাপাশি খানিকটা ধৈর্যেরও প্রয়োজন আছে।
মোবাইল ভেরিফিকেশন টুলকিট ব্যবহারের নির্দেশিকা এবং ইনস্টল করার ফাইল একই ওয়েবসাইটে পাবেন। ফাইল নামিয়ে ব্যবহারের আগে সে ওয়েবসাইট থেকে নির্দেশিকা ভালোভাবে পড়ে নিতে ভুলবেন না।
নির্দেশিকায় কেবল ম্যাকওএস এবং লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমে কাজটি করার কথা উল্লেখ করা রয়েছে। তবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের কম্পিউটারে লিনাক্স ব্যবহারের সুযোগ আছে উইন্ডোজ ১০-এ। আপনি চাইলে সেই নির্দেশিকা দেখে নিতে পারেন মাইক্রোসফটের ওয়েবসাইট থেকে। এরপর অ্যামনেস্টির নির্দেশিকায় লিনাক্সের অংশটুকু অনুসরণ করতে হবে।