এখন থেকে ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এ জন্য ডিজিটাল বিজনেস আইডি বা ডিবিআই অ্যাপ চালু করেছে সরকার। ওয়েবসাইট থেকে নিদিষ্ট ফরম সংগ্রহ করে তথ্য দিয়ে মাত্র ৩০ দিনেই নিবন্ধন পাওয়া সম্ভব। এর ফলে বৈধ ভিত্তির ওপর দাঁড়াচ্ছে ডিজিটাল ব্যবসা। উদ্যোক্তারা বলছেন, ইউনিক আইডির মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ঋণসহ নানা সুবিধা পাওয়া সম্ভব। কে কোথায় কী ধরনের ব্যবসা করছে তাও জানতে পারবে সরকার।
ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত চারপাশ। ব্যবসার কৌশল নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অর্থ লগ্নি করে এখন পথে বসেছে হাজার হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসার প্রসার হলেও ছিল না আইনগত শক্ত ভিত্তি। বড় সংখ্যাক মানুষ প্রতারিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়, নিবন্ধন ছাড়া করা যাবে না ব্যবসা। এমন অবস্থায় শুরু হয়েছে নিবন্ধন কার্যক্রম।
ওয়েবসাইটে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নামে একটি উইন্ডো খুলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ই-ক্যাবের সহ-সভাপতি সাহাবউদ্দিন জানালেন, নির্ধারিত ওই উইন্ডোতে গিয়ে ১০ থেকে ১২ ধরনের তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করতে হবে। নিবন্ধন পেতে কোনো অর্থ লাগবে না। ৩০ কর্মদিবসের মধ্যেই নিবন্ধন পাওয়া যাবে। আর নিবন্ধনের ফলে এই ব্যবসায় স্বচ্ছতা আসবে বলেও আশাবাদী তিনি। বললেন, এতে উদ্যোক্তাদেরও মিলবে স্বীকৃতি।
দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। আর ফেসবুক কমার্সের সংখ্যা ২ লক্ষাধিক। এসব মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকা।
ভবিষ্যৎ ডিজিটাল ব্যবসা নিয়ে আশঙ্কা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলছেন, অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে যথাসময়ে পণ্য দিচ্ছে না, আবার অনেকে মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধে গড়িমসি করছে, এমনকি বিদেশেও চলে গেছেন অনেক উদ্যোক্তা। আর তাই ই-কমার্স ব্যবসার ধরন সুনির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।