পথের ধুলাবালু থেকে রক্ষার পাশাপাশি গানও শোনা যায় হেডফোনটিতে। ওয়্যারলেস প্রযুক্তি সমর্থন করায় তারের ঝামেলাও নেই, ফলে স্বচ্ছন্দে পথচলা যায়। ঘরে বা অফিসে প্রবেশের পর চাইলে হেডফোনটির বাতাস বিশুদ্ধকরণ সুবিধা বন্ধ রাখা যায়। শুনতে অবাক লাগলেও ‘ডায়সন জোন’ নামের হেডফোনটিতে এ সুবিধা মিলবে।
গান শোনানোর পাশাপাশি বাতাসে থাকা ধুলাবালু শোষণ করে বিশুদ্ধ বাতাস দিতে সক্ষম হেডফোনটি তৈরি করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডায়সন। এয়ার পিউরিফায়ার, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, হেয়ার ড্রায়ারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় ছয় বছর গবেষণার পর বাতাস বিশুদ্ধকরণ সুবিধার হেডফোনটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
নয়েজ ক্যানসেলেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করায় হেডফোনটিতে নিখুঁত শব্দ শোনা যায়। বাতাস বিশুদ্ধ করার জন্য হেডফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন রাসায়নিকের সমন্বয়ে তৈরি একাধিক ফিল্টার ও এয়ার পাম্প। আশপাশের পরিবেশ বিবেচনা করে চাইলেই হেডফোনটির বাতাস বিশুদ্ধ করার গতিনিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ পথে ধুলাবালুর পরিমাণ বেশি বা কম থাকলে হেডফোনের ফিল্টারের গতিও কমবেশি করা যাবে। চাইলে পুরোপুরি বন্ধও রাখা যাবে।
ডায়সনের দাবি, হেডফোনটি বাতাসে থাকা ধুলাবালু প্রতিরোধের পাশাপাশি ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করতে পারে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ হেডফোনটি বাজারে আসতে পারে। তবে দাম কত হবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ডায়সন।