দেশে স্মার্টফোনের দাম বেড়েছে। কমেছে বিক্রি ও উৎপাদন। এই প্রবণতা দীর্ঘায়িত হতে পারে বলে আশঙ্কা বিক্রেতা-উৎপাদনকারীদের।
বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়ছে। বাড়ছে বাংলাদেশেও। বাংলাদেশ সরকার মুঠোফোনের ওপর ব্যবসায়িক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বসিয়েছে। এসবের প্রভাব দেশের স্মার্টফোনের বাজারে পড়েছে। ফলে দেশে স্মার্টফোনের বিক্রি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বলছে, দেশে স্মার্টফোনের উৎপাদনও কমেছে। এক মাসে উৎপাদন কমেছে ১০ শতাংশের বেশি।
গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। এ যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই বিশ্ববাজারে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। দেশে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের দাম ৯৪ টাকা। তবে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
দেশে যেসব মুঠোফোন উৎপাদিত হয়, তা মূলত বিভিন্ন কাঁচামাল আমদানি করে এখানে সংযোজন করা হয়।
মুঠোফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, ডলারের দাম বাড়ায় কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে মুঠোফোন বিক্রির দামে একটা প্রভাব পড়েছে।
গত মাসে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পরপরই মুঠোফোনের দাম বেড়ে যায় বলে জানান বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নতুন বাজেটে ব্যবসায়িক পর্যায়ে মুঠোফোনে দেওয়া ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন দেশে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল, এতে বাজারে সেটের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে। বাস্তবে হয়েছেও তা-ই।
দেশে স্যামসাং, অপো, ভিভো, টেকনো, সিম্ফনি, লাভা, শাওমি, রিয়েলমির ফোনের কারখানা রয়েছে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্র বলছে, দেশে ১৫ হাজার কোটি টাকার স্মার্টফোনের বাজার রয়েছে। চাহিদার ৯০ শতাংশের বেশি ফোন দেশেই উৎপাদিত হয়।