যানজট এড়িয়ে দ্রুত যাতায়াতে মোটরবাইক সেরা সবসময়। ট্রাফিক জ্যামকে আঙুল দেখিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য পৌছাতে দুই চাকার এই বাহনটির জুড়ি নেই। মোটর বাইকের দামও এখন অনেকটা হাতের নাগালে। পছন্দের বাইক কেনার সময় তেল খরচের ব্যাপারটাও মাথায় চলে আসে।
দেশীয় বাজারে ভারতে তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের বাইকগুলো কম তেলে বেশি চলার সুনাম আছে । টিভিএস, বাজাজ ও হিরো ব্রান্ডের বাইকে মাইলেজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের বর্তমান বাজার কম তেলে বেশি চলে অর্থাৎ সবচেয়ে মাইলেজ সমৃদ্ধ ৫টি বাইক সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
টিভিএস মেট্রো : ভারতীয় টিভিএস মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম কে না শুনেছে। টিভিএস বরাবরই মাইলেজের কথা মাথায় রেখে মোটরসাইকেল তৈরি করে থাকে। মাইলেজের দিকে থেকে এই ব্র্যান্ডের মেট্রো গাড়িটির বেশ সুনাম রয়েছে। টিভিএস মেট্রোতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৯.৭৭ সিসির একটি ফোরস্ট্রক এয়ারকুলড ইঞ্জিন। বাইকটির টপ স্পিড প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার। এছাড়া বাইকটির ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি হচ্ছে ১২ লিটার। বাইকটিতে আপনি প্রতি লিটারে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবেন। বর্তমান বাজারে টিভিএস মেট্রো কিনতে হলে আপনাকে ৯০ হাজার ৯০০ টাকা খরচ করতে হবে।
বাজাজ প্লাটিনা : বাংলাদেশের বাইকপ্রেমিদের কাছে অন্যতম পছন্দের মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হচ্ছে বাজাজ। আর বাজাজ মোটরসাইকেল কোম্পানির স্ট্যান্ডার্ড মোটরসাইকেলের মধ্যে বাজাজের প্লাটিনা সিরিজের মোটরসাইকেলগুলো বেশ সফল এবং জনপ্রিয়। বাজাজ প্লাটিনা ১০০ ইএস মোটরসাইকেলটি স্পিড এবং মাইলিয়েজের দিক থেকেও বেশ ভাল কেননা এটি আপনাকে প্রতি ঘন্টায় ৯০(ইন্টারনালি টেস্টেড) কিলোমিটার পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্পিডে বাইক চালানোর সুযোগ করে দেয়। কারণ এর সর্বোচ্চ স্পিড ৯০ (ইন্টারনালি টেস্টেড) কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় । এছাড়াও এই মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটারে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। এর দাম ৯৬ হাজার ৯০০টাকা।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স : হিরো ব্র্যান্ডের হিরো এইচএফ ডিলাক্সকে একটি মাইলেজ কিং বাইক বলা যায়। এর ইঞ্জিন ১০০ সিসি কমিউটিং ফোকাসড ইঞ্জিন । বাইকটিতে খুব কম পাওয়ারে ভাল ফুয়েল এফেন্সি এবং টর্ক পাওয়া যায় । ইঞ্জিনটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ফোর স্ট্রোক এবং এয়ার কুল্ড । ইঞ্জিনটি প্রায় ৮.৩৬ পিএস পাওয়ার এবং ৮.৫এনএম টর্ক দিতে সক্ষম । ইঞ্জিনে চারটি গিয়ার দেওয়ার ব্যবস্থা আছে এবং মানুয়্যাল কিক এবং ইলেক্ট্রিক সিস্টেম দ্বারা স্টার্ট করা যাবে । হিরো এইচএফ ডিলাক্স বাইকের সর্বোচ্চ স্পিড ৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলিয়েজ ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের সামনে এবং পেছনে উভয় দিকের ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে। এটি বর্তমানে সাশ্রয়ী দাম ৮৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
হিরো সুপার স্প্লেন্ডার : হিরো সুপার স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেলে ৪টি স্ট্রোক, একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, এবং একটি ওএইচসি ধরণের ইঞ্জিন সংযুক্ত করা হয়েছে। আর এর ১২৪.৭ সিসি ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিনে মোটরসাইকেলটি চালাতে বাইকার বেশ উপভোগ করবে। এছাড়াও হিরো সুপার স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের সর্বচ্চ পাওয়ার হচ্ছে ৯.১২ পিএস এবং ৭০০০ আরপিএম এবং ইঞ্জিনের সর্বচ্চ তোরকিউ হচ্ছে ১০.৩৫ এনএম এবং ৪০০০ আরপিএম। এছাড়াও ইঞ্জিনে আরো সংযুক্ত করা হয়েছে একটি এ এম আই ধরণের ইগনিশন সিস্টেম এবং বাইকটি দ্রুত চালু করার জন্য দুটি বাইক চালু করার মাধ্যম একটি ইলেক্ট্রিক এবং একটি কিক।হিরো সুপার স্প্লেন্ডার মোটরসাইকেলটির স্পিড খুব একটা বেশি না হলেও এটি মাইলিয়েজের দিক থেকে বেশ ভাল। আর এই হিরো সুপার স্প্লেন্ডার আপনাকে প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম। এছাড়াও এই মোটরসাইকেলটি প্রতি লিটারে এটি ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে সক্ষম। এর দাম বর্তমানে ৯৫ হাজার টাকা।
রানার বুলেট : দেশীয় প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডে রানার ব্র্যান্ড বাইকপ্রেমিদের আস্থা অর্জন করেছে। এই ব্র্যান্ডেরস্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির একটি বাইক হলো রানার বুলেট। এই বাইকের ডিস্প্লেসিমেন্ট ইঞ্জিন ১০০.৫৪ সিসি যার সাথে আছে একটি সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ৪টি স্ট্রোক, একটি এয়ার কোল্ড এবং পেট্রোল ইঞ্জিন।রানার বুলেট ১০০ বাইকের সর্বোচ্চ স্পিড হচ্ছে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাই এবং এর মাইলেজ ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটারে। এই বাইকের ব্রেকের ধরণ এই বাইকের সামনে ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ড্রাম ধরণের ব্রেক রয়েছে। বাইকটির দাম ৯৫ হাজার টাকা।