বন্ধ হয়ে গেছে তিন দিনের মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ। অর্থাৎ গ্রাহকরা শনিবার মধ্যরাত থেকে তিন দিনের প্যাকেজ কিনতে পারছেন না। এখন থেকে মানুষকে অন্তত সাত দিন মেয়াদি প্যাকেজ কিনতে হবে। সাত দিনের প্যাকেজের দাম তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজের চেয়ে বেশি। ফলে মানুষের ব্যয় বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে থেকে দেখা যায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের মাই জিপি অ্যাপে তিন দিন মেয়াদের এক গিগাবিট (জিবি) ডাটার প্যাকেজ নেই। সাত দিন মেয়াদে তিন জিবি ডাটা কিনতে ব্যয় হবে ৯৮ টাকা এবং একই মেয়াদে ১০ জিবি নিলে দাম পড়বে ১৬৯ টাকা। তবে অ্যাপে এক দিনে ৫১২ মেগাবাইটের ২৮ টাকার প্যাকেজটি সেখানে দেখা গেছে।
ইন্টারনেট যাদের একেবারেই জরুরি, তারা বাড়তি ব্যয় করে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন না থাকলেও অনেক মানুষকে বেশি মেয়াদের বেশি দামি প্যাকেজ কিনতে হবে। অপারেটরদের হিসাবে, মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬৯ শতাংশের বেশি ৩ দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করেন। দেশে মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় ১২ কোটি।
উল্লেখ্য, কেউ সর্বশেষ ৯০ দিনে একবার ইন্টারনেট ব্যবহার করলেই তাকে একজন গ্রাহক ধরা হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইন্টারনেট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকায় শুধু ৭ ও ৩০ দিন মেয়াদি প্যাকেজ রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে থাকতে পারবে অনির্দিষ্ট মেয়াদের (আনলিমিটেড) প্যাকেজ। মোট ৪০টি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা। এত দিন ৩, ৭, ১৫, ৩০ ও অনির্দিষ্ট মেয়াদের প্যাকেজ ছিল। অপারেটরগুলো মোট ৯৫টি প্যাকেজ দিতে পারত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসির যুক্তি হলো, বেশিসংখ্যক প্যাকেজের কারণে গ্রাহকেরা বিভ্রান্ত হন। অল্প মেয়াদের প্যাকেজের কারণে অসচেতন গ্রাহকেরা ক্ষতিগ্রস্তও হন।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বিটিআরসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেন, মেয়াদের চক্র ও প্যাকেজের চক্রের উদ্দেশ্য হচ্ছে অতিরিক্ত মুনাফা করা। লাভ কমে যাচ্ছে বলেই অপারেটররা তিন দিনের মেয়াদ চাচ্ছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেয়াদ, অসংখ্য প্যাকেজে গ্রাহক বিভ্রান্ত হয়েছেন। নতুন নির্দেশিকা গ্রহণযোগ্য।