টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র চেয়ারম্যানের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। ১৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে চুক্তি বাতিলের এই চিঠি পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর এর মাধ্যমেই খালি হলো পদটি।
অবশ্য ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই অফিসে আসা থেকে বিরত ছিলেন সদ্য সাবেক চুক্তিবদ্ধ বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে গত ১৪ আগষ্ট দুপুরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর থেকে মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বিটিআরসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ও ১৮ জুলাই রাতে দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফিরে আসে। আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। কিন্তু বন্ধ ছিল ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক। ৩১ জুলাই বেলা দুইটার পর থেকে বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো চালু করা হয়। আবার ২ আগস্ট মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পাশাপাশি তিনিও অভিযুক্ত হয়েছেন।