আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সবাইকে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তাদের মতে, দেশের আইসিটি খাতের সত্যিকারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে একটা টেকসই পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ তৈরি করেত হবে। সে অনুসারে আইসিটি খাতের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। আর এই মহাকর্মযজ্ঞটি সম্পন্ন করতে সরকারের সঙ্গে সকলকে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।
আজ ১৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ইউনাইটেড আইসিটি ফোরামের (ইউআইএফ) উদ্যোগে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মহাফিলে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির নেতারা।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অতিথি হিসাবে বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবার আগে দরকার রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন। রাজনীতিতে সহনশীলতা থাকতে হবে। ভিন্নমত থাকলেও অপরপক্ষকে সন্মান জানাতে হবে। ব্যাক্তি বা দলই কেবল নয় ভাবতে হবে সবাইকে নিয়ে। আবার দেশের তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল শিল্প উন্নয়নে প্রয়োজন সকলের আন্তুরিক অংশগ্রহণ। ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই সংগঠনগুলোকেও নিজের জায়গায় স্বাবলাম্বী হতে হবে। নির্বাচিত সরকার নীতি নির্ধারণ বা পলিসিগত উন্নয়নে সংগঠনগুলোর সাথে কাজ করবে। কিন্তু সংগঠনকে চলতে হবে তার নিজস্ব গতিধারায়। আর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর মধ্যকার ঐক্য খুবই জরুরি। তাই সকলেকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে ইউনাইটেড আইসিটি ফোরামের আহ্বায়ক ও প্রধান সংগঠক ফয়সল আলিম বলেন, ‘বাংলাদেশের আইসিটি খাতের সত্যিকারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে আগামী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সক্রিয় ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।’
বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের সাবেক আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দেওয়া।’
বেসিসের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রাওলী বলেন, ‘বর্তমান বেসিস নেতৃত্বে গতিশীলতা ও কার্যকর উদ্যোগের অভাব সুস্পষ্ট। পুরো আইসিটি শিল্পকে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে হলে বেসিসে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
বেসিসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির কাউন্সিল ফর কমিউনিকেশন অ্যান্ড আইটির চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও উদ্যোগকে পুঁজি করে আগামী নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের-ভিত্তিতে আইসিটি খাতকে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডিং করতে হবে। আমাদের আইসিটির সক্ষমতাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আমরা নেটওয়ার্কসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফারহাদ আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, আইসিটি ফোরামের সদস্যবৃন্দ রিয়াদ হাসনাইন, সহিবুর রহমান খান রানা, রাফসানজানি সামির, সায়মা শওকত, মঈনউদ্দিন আহমেদ, জিয়া আশরাফ, খালেদ সাইফুল্লাহ, মতিউর রহমান, আব্দুল মোমিন, ফিদা মাহমুদ, মর্তুজা আহমেদসহ দেশের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।