ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান এক্সকে (পূর্বের টুইটার) ৮ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট ব্লক করতে নির্বাহী আদেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এমন আদেশের সাথে একমত না হওয়া স্বত্বেও কেন্দ্রিয় সরকারের নির্দেশ পালন করতে শুরু করেছে প্ল্যাটফর্মটি। গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) এমনটাই জানিয়েছে এক্স।
অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে যেমন আছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তেমনি আছে এক্স প্ল্যাটফর্মে সুপরিচিত ব্যক্তিবর্গও। ব্লক করার কারণ হিসেবে সরকার বলছে, এই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে স্থানীয় আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই কোন কোন পোস্টের কারণে আইনের লঙ্ঘন হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি সরকারি আদেশে।
এক্সের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে শেয়ার করা একটি পোস্টে বলা হয়েছে যে, ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে আমরা এগুলোকে ব্লক করার কোনও প্রমাণ বা যুক্তি খুঁজে পাইনি।’
এক্স আরও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে এক্সের স্থানীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও উল্লেখ রয়েছে সরকারের জারি করা নির্বাহী আদেশে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত সরকারের আইনি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছু সাংবাদিক ও সংবাদ সংস্থার এক্স অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এবার এই বিশাল সংখ্যক অ্যাকাউন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এক্স বলছে, ‘আমরা ভারত সরকারের দাবির সাথে একমত নই।’ তবে তা স্বত্তেও ভারত সরকারের নির্দেশ প্রতিপালনের অংশ হিসেবে তাঁরা উল্লেখিত অ্যাকাউন্টগুলো স্থগিত করতে যাচ্ছে।
এক্সের শেয়ার করা পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘পুরো অ্যাকাউন্ট ব্লক করার বিষয়টি কেবলমাত্র অপ্রয়োজনীয় নয়, বরং এটি বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিষয়বস্তুর ওপর সেন্সরশিপের শামিল এবং বাকস্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ নয়, তবে প্ল্যাটফর্মটিকে সচল রাখা ভারতীয়দের তথ্য অ্যাক্সেস করার সক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এক্স বিশ্বাস করে, স্বচ্ছতা বজায় রাখার স্বার্থে অ্যাকাউন্ট ব্লক করার মতো সরকারি আদেশকে জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত। তবে ‘আইনগত প্রতিবন্ধকতার’ বিষয়টি বিবেচনা করে মোদি সরকারের নির্বাহী আদেশকে তাঁরা প্রকাশ করছে না।
অ্যাকাউন্ট ব্লক করার সরকারি আদেশ প্রসঙ্গে আইনি ব্যবস্থা কি হতে পারে তা খতিয়ে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, ব্লক করার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবহারকারীদেরকে পরিত্রাণ পেতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ারও উপদেশ দিয়েছে এক্স।
অ্যাকাউন্ট ব্লক করার সরকারি আদেশ প্রসঙ্গে আইনি ব্যবস্থা কি হতে পারে তা খতিয়ে দেখছে প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, ব্লক করার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবহারকারীদেরকে পরিত্রাণ পেতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ারও উপদেশ দিয়েছে এক্স।