স্মার্টফোন এখন সবার পরম সঙ্গী। ঘরে কিংবা বাইরে যান সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে মানিব্যাগও প্রয়োজন পরে না। ব্যাংকের লেনদেন থেকে শুরু করে শপিংয়ের বিল, ব্যক্তিগত ছবি, তথ্য সবই রাখছেন ফোনে। যে কারণে স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখা খুবই জরুরি।
জেনে নিন স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে যে ৯ বিষয়ে নজর রাখবেন-
>> স্মার্টফোনের স্ক্রিন অতি অবশ্যই লক করে রাখুন। সে জন্য পাসওয়ার্ড বা পিন বা প্যাটার্ন লক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করুন।
>> পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সময়ে ‘১২৩৪৫…’ অথবা জন্মতারিখ এমন খুব সাধারণ কম্বিনেশন রাখবেন না। একটু জটিল পাসওয়ার্ড, সম্ভব হলে সংখ্যার সঙ্গে চিহ্ন (যেমন—* বা $ বা @) ব্যবহার করুন।
>> জরুরি অ্যাপ, যেমন কনট্যাক্ট, মেসেজ, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সাধারণ অ্যাপ এবং ব্যাঙ্কিং অ্যাপ থাকলে সেগুলো প্রতিটি আলাদাভাবে লক করে রাখুন।
>> জরুরি প্রয়োজনে অনেক অ্যাপ আমরা অ্যাপ ডাউনলোড করি। অ্যাপ ডাউনলোডের সময়ে দেখে নিন সেটি ‘ট্রাস্টেড’ কি না এবং রিভিউ অপশনে গিয়ে সেটির রেটিং কেমন।
>> অ্যাপ ডাউনলোডের সময়ে দেখুন, সেটি আপনার মোবাইলের কোন কোন তথ্যের অ্যাকসেস চাইছে। যেমন কোনো পেমেন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করলে সেটির কিন্তু আপনার ক্যামেরার অ্যাকসেস চাওয়ার কথা নয়। ফলে খেয়াল রাখুন, বুঝে অ্যাকসেস পারমিশন দিন।
>> মোবাইলের সফটওয়্যার ও প্রতিটি অ্যাপ নিয়মিত আপডেট করুন। আপডেশনের সঙ্গে সিকিউরিটি ফিচারসও আপডেটেড হয়।
>> মোবাইলে কোনো লাইসেন্সড সফটওয়্যার অবশ্যই ইনস্টল করে রাখুন। যাতে অনলাইনে কোনো কাজকর্ম করতে গিয়ে ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস অ্যাটাক প্রাথমিকভাবে আটকানো যায়।
>> পাবলিক ওয়াই-ফাই কোনো ভাবেই ব্যবহার করবেন না। অন্তত ব্যবহার করলেও নিশ্চিত হোন, যে পাবলিক ওয়াই-ফাই থেকে আপনি ব্যাঙ্কিং বা পেমেন্ট সংক্রান্ত কাজ করছেন না। তাতে আপনার মোবাইলের গোপন তথ্য চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এবং অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
>> যখন ব্যবহার করছেন না, ব্লুটুথ অপশনটিও তখন বন্ধ করে রাখুন। ব্লু-টুথ সেটিংয়ে গিয়ে ‘নন-ডিসকভারেবল’ করুন, যাতে হ্যাকার বা প্রতারকদের কাছে দূর থেকেই আপনার মোবাইলটির অ্যাকসেস পাওয়ার সম্ভাবনা না-থাকে।