বাইক চালানোর সময় মোবাইলে কল এলে হয় অগ্রাহ্য করা নয়তো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপরপ্রান্তের সঙ্গে কথা বলা। আবার নিয়মিত রাস্তায় বাইক চালাতে হয় এমন কেউ কেউ হেডফোন ব্যবহার করেন। তবে অতিসাহসিকতার পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ আবার হেলমেটের ফাঁক দিয়েই কানে গুঁজে দেন স্মার্টফোন। যাতে বিপদ ঘটার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। এই বিপদ থেকেই শিক্ষা নিয়ে আসছে হেডফোন-ওলা হেলমেট।
নতুন এই হেলমেটে শুধু যে হেডফোন লাগানো হচ্ছে, তেমনটাও নয়। প্রযুক্তিগত ভাবে অত্যাধুনিক এই হেলমেট আরোহীর মাথার সুরক্ষার পাশাপাশি কাজ করবে আরও অনেক রকম ভাবেই।
নতুন এই হেলমেটের নকশা করেছেন ২৮ বছর বয়সি সুন্দর জগন্নাথন। এক বন্ধু দুর্ঘটনায় পড়ার পর প্রযুক্তি-কৌতূহলই তাঁকে এই অত্যাধুনিক নকশা তৈরির দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছে। সুন্দর জানিয়েছে, তাঁর তৈরি হেলমেটে সুরক্ষার পাশাপাশি গান শোনা, কল রিসিভ করা এবং একই সঙ্গে নিরাপদে বাইক চালানোর সুবিধা মিলবে।
এখন হংকং-ভিত্তিক একটি সংস্থা নতুনত্ব, প্রযুক্তি এবং ডিজাইন ব্যবহার করে দু’চাকার গাড়ি চালানোর সমস্যা সমাধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই ফ্ল্যাগশিপ পণ্যটির নাম দেওয়া হয়েছে হেডসআপ। এটি এমন একটি যোগাযোগ ডিভাইস, স্মার্টফোনে ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে এবং আরোহীর কান আটকে না রেখে যোগাযোগ, নেভিগেশন এবং মিউজিক সরবরাহ করতে পারে।
সুন্দর জানিয়েছেন, এই হেডসআপ একটি সর্বজনীন আকারে তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের অনুষঙ্গ ব্যবহারকারীকে কোনো রকমের অতিরিক্ত তার বহন করতে হবে না। এ ছাড়া ভিন্ন কাজেও এটিকে ব্যবহার করা যাবে।
বাইক চালানো ছাড়াও সাইকেল চালানোর জন্যও এই হেলমেট ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি নির্মাণকর্মী অথবা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশগ্রহণকারীদেরও সাহায্য করবে নতুন এই স্মার্ট হেলমেট, তেমনটাই আশাপ্রকাশ করেছেন সুন্দর।