বাইকের জগতে ইয়ামাহা এক অনন্য নাম। প্রতি নিয়ত নতুন নতুন বাইক বাজারে আনছে বাজারে। এবার ৩০ বছরের পুরোনো বাইক ফিরিয়ে আনছে সংস্থা।
এক সময় ইয়ামাহা আরএক্স১০০ ছিল অন্যতম জনপ্রিয় বাইক। পরে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্রাহকদের জন্য বড় ধাক্কা দিয়েছিল কোম্পানি। আজও প্রজন্ম নির্বিশেষে এর গুণগ্রাহীর অভাব নেই। তবে এখন আবার বাজারে ফিরতে প্রস্তুত এই বাইক।
১৯৮৫ সালে লঞ্চ করা, ইয়ামাহা আরএক্স১০০ মোটরসাইকেল বাজারে তার ট্রেডমার্ক তৈরি করতে সফল হয়েছিল। এই ২-স্ট্রোক বাইকটি তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও শক্তিশালী এক্সজস্ট নোটের জন্য পরিচিত ছিল। বিশেষ করে তরুণ রাইডারদের মধ্যে এই বাইকটি জনপ্রিয় ছিল। এখন কয়েক দশক পর আরএক্স১০০ উন্নত বৈশিষ্ট্য এবং রেট্রো ডিজাইন সহ একটি নতুন অবতারে ফিরে আসতে চলেছে।
পুরোনো ইয়ামাহা আরএক্স১০০ নভেম্বর ১৯৮৫ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল। এটিতে একটি ৯৮সিসি এয়ার-কুলড, ২-স্ট্রোক ইঞ্জিন ছিল, যা ১১.২ এইচপি শক্তি এবং ১০.৩৯ এনএম টর্ক তৈরি করেছিল। এই বাইকটি মাত্র ৭.৫ সেকেন্ডে ০ থেকে ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতি তুলতে পারে। যেখানে এর সর্বোচ্চ গতি ছিল ১১০ কিলোমিটার/ঘণ্টা। মাইলেজের কথা বলতে গেলে, এই বাইকটি গড়ে ৩৫-৪৫ কিলোমিটার/লিটার দিয়েছে, যা সেই সময়ের তুলনায় খুব ভালো মাইলেজ।
এর হালকা ওজনের ফ্রেম এবং শক্তিশালী ইঞ্জিনের কারণে এই বাইকটি সেই সময়ের রাইডারদের একটি দুর্দান্ত রাইডিং অভিজ্ঞতা প্রদান করেছিল। যদিও আজকের মান অনুযায়ী এর মাইলেজ একটু কম বলে বিবেচিত হবে, কিন্তু কার্যক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে এটি একটি ‘কাল্ট ক্লাসিক’-এর মর্যাদা পেয়েছে।
২০২৫ সালে ইয়ামাহা আরএক্স১০০ এর একটি আপডেটেড সংস্করণ চালু করা হবে, যা আধুনিক প্রযুক্তি এবং পরিবেশগত মান অনুযায়ী ডিজাইন করা হবে। আরও মাইলেজ দিতে নতুন আরএক্স১০০আপগ্রেড করা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বাইকটি ৮০ কিলোমিটার/লিটার মাইলেজ দিতে পারে, যা পুরোনো মডেলের থেকে অনেক ভালো। এটি এই বাইকটিকে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য আরও বেশি সাশ্রয়ী করে তুলবে।
কোম্পানি ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এই বাইকটি লঞ্চ করতে পারে। যা গ্রাহকদের মন জয় করার জন্য যথেষ্ট। যদিও দাম সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।