অনলাইনের কল্যাণে দ্রুত বদলে যাচ্ছে পৃথিবী। বদলে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন শিল্পের ধরন। গত্বাঁধা কনটেন্ট থেকে বেরিয়ে বিজ্ঞাপন শিল্প এখন অনলাইনভিত্তিক হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ যুগে তারকাদের দিয়ে পোস্ট দেয়া কিংবা ছবি আপলোড করা হালের বিজ্ঞাপন ধারা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এতে পণ্যের যেমন দ্রুত প্রসার ঘটছে, তেমনি তারকাদের আয়ের নতুন একটি উৎস তৈরি হয়েছে। খবর বিবিসি।
গত এক বছরেই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় তারকা বা সোস্যাল-মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার দিয়ে পোস্ট কিংবা ছবি আপলোডের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়ার প্রবণতা ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এসব পোস্ট কিংবা ছবি আপলোডের মাধ্যমে তারকাদের আয়ও আকাশ ছুঁয়েছে।
বিপণন প্রতিষ্ঠান আইজেডইএর এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের যেসব অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম এক লাখ ফলোয়ার রয়েছে; সেসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিজ্ঞাপনমূলক পোস্ট করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠে স্পন্সররা। বিশেষ করে ক্রীড়া, বিনোদন জগতের তারকাদের অ্যাকাউন্ট সবচেয়ে অগ্রাধিকার পায়।
২০১৪ সালে একজন তারকা ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপনমূলক ছবি পোস্টের জন্য গড়ে ১৩৪ ডলার আয় করতেন। বর্তমানে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে পোস্টপ্রতি ১ হাজার ৬৪২ ডলারে। গত এক বছরেই এ হার ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৪ সালে একেকটি ইউটিউব ভিডিওর বিপরীতে তারকাদের গড় আয় ছিল ৪২০ ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭০০ ডলারে।
বিজ্ঞাপনের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এখন ফেসবুক। ২০১৪ সালে একজন তারকা ফেসবুকে বিজ্ঞাপনমূলক স্ট্যাটাস আপলোড করলে গড়ে ৮ ডলার পেতেন। ২০১৯ সালে তা ৩৯৫ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিজ্ঞাপনমূলক ব্লগ পোস্টের জন্য আয় ৪০৭ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪২ ডলারে। অন্যদিকে ২০১৪ সালে টুইটারে এ-সংক্রান্ত আয় ছিল পোস্টপ্রতি ২৯ ডলার। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৪২২ ডলারে।
এ বিষয়ে সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্লাটফর্ম সোস্যালবেকার্সের প্রধান নির্বাহী ইউভাল বেন-ইজহাক বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং বিজ্ঞাপন জগতের পুরনো ধারা বদলে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী নতুন এ ধারণাটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রীতিমতো শিল্প গড়ে উঠেছে। আয় বাড়িয়েছে তারকাদের।