ই-কমার্স হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যার দ্বারা আমরা ঘরে বসেই দেশি বিদেশি নানা পণ্য নিজের পছন্দতম ক্রয় করতে পারি। আর ক্যাশ অন ডেলিভারির বদৌলতে সেই পণ্যটি হাজির হয় আমাদের বাড়ির দরজায়।হ্যা ঠিক এতোটাই সহজ হয়ে গিয়েছে আমাদের জীবন ব্যবস্থা। যার ফল আমরা প্রতি মুহূর্তে ভোগ করছি। এক সময় আমাদের দেশিয় পণ্য গুলো হারিয়ে যেতে বসেছিলো নানা বিদেশি পণ্যের ভীরে। তবে ই- কমার্সের নানা মুখি সুবিধার জন্য আমাদের দেশিয় পণ্যের আবার সুদিন উদিত হয়েছে। মানুষের আগ্রহ এবং চাহিদা বাড়ছে দেশিয় পণ্যে প্রতি।
মূলত কিছু কাল আগেই আমাদের দেশিয় পণ্য হারিয়ে যেতে বসেছিলো। এর কারণ আমাদের দেশের নানা প্রান্তে নানা রকম পণ্য তৈরি হয় হলেও তা কেবল নির্দিষ্ট কিছু জায়গাগুলোতে পাওয়া যায় তবে প্রতিটি পণ্যই দেশের সব জায়গায়তে সরবরাহ করা হয় না। এর ফলে পণ্য গুলো দেশের বাকি সব জায়গার মানুষের কাছে খুব সহজে পৌঁছায় না। এছাড়া বেশির ভাগ দেশিয় পণ্য শহরের তুলনায় গ্রামেই বেশি উৎপাদিত হয় যার ফলে সব মানুষ এসব পন্যের প্রতি অবগত থাকে না।
তবে বর্তমানে ই-কমার্সের ফলে পণ্য উৎপাদনকারি তার পণ্যের ছবি তুলে ই-কমার্স সাইট গুলোতে দেয়ার ফলে তা সারা দেশের মানুষ দেখতে পায় এবং পন্য সম্পর্কে স্পষ্টভাবে অবগত হয়। ফলস্বরূপ যার যে পন্য পছন্দ হয় সে তা ঘরে বসেই কিনতে পারছে।আর এটির কারণেই মূলতো আমাদের দেশিয় পণ্যে চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশিয় পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির ফলে সকল মানুষ এখন বুঝতে পারছে আমাদের দেশিয় পণ্যের গুণগত মান ও কোয়ালিটি ঠিক কতটা উন্নত।
জোর গলায় বলাই যায় আমাদের দেশিও পণ্যের এই সুদিনের পেছনে ই-কমার্সের ভূমিকা অতুলনীয়। এর ফলে আমাদের দেশিয় পণ্য গুলো আমাদের দেশ ছেড়ে বিদেশিদের কাছেও সুনাম কুড়িয়েছে এবং এ সংবাদ আমাদের দেশের জন্য অনেক গর্বের।
ই-ক্যাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি রাজিব আহমেদ স্যার ই-কমার্সের সম্ভবনা সম্পর্কে বলেন “অনলাইনে দেশী পণ্যের যে ধরনের ভিত তৈরি হয়ে গেছে তার ফলে অনেক ধরনের দেশি পন্যের প্রচার খুব সহজেই সম্ভব হবে ২০২১ সালে।”
করোনাকালীন সময়ে অনেক নতুন উদ্যোক্তা ই-কমার্সকে কাজে লাগিয়ে হয়েছেন সাবলম্বী। করোনায় যখন জনজীবনে ভোগান্তির শেষ ছিলোনা, তখন মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝেছে।
দেশের সর্বস্তরের মানুষ এখন তাই ই-কমার্স নিয়ে ব্যপকভাবে আশাবাদী।
লেখক
প্রমি পোদ্দার
স্বত্বাধিকারী “পুষ্পরেণু”