চীনের টেনসেন্ট হোল্ডিংস লিমিটেড এবং আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের ই-কমার্স সাইটগুলোর নাম যোগ হয়েছে মার্কিন সরকারের সর্বশেষ ‘কুখ্যাত বাজার’ তালিকায়।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিস বলছে, তারা ৪২টি অনলাইন বাজার এবং ৩৫টি অফলাইন বাজার চিহ্নিত করেছেন যেগুলো ট্রেডমার্ক জালিয়াতি বা কপিরাইট পাইরেসির সঙ্গে সরাসরি জড়িত বা এই কাজগুলোয় সহায়তা দেয়।
“এই প্রথমবারের মতো দুটি উল্লেখযোগ্য চীন-ভিত্তিক অনলাইন বাজার, আলি এক্সপ্রেস এবং উই চ্যাট ই-কমার্স সিস্টেমকে চিহ্নিত করা হলো যারা ট্রেডমার্ক জালিয়াতিতে যথেষ্ট সহায়তা দেয়।”
চীন-ভিত্তিক অনলাইন বাজার বাইডু ওয়াংপান, ডিএইচগেট, পিনডুওডুও এবং টাওবাও এই তালিকায় আগে থেকেই রয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, চীন ভূখণ্ডে অবস্থিত নয়টি অফলাইন বাজারের কথাও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিস উল্লেখ করেছে যেগুলো “নকল পণ্য উৎপাদন, বিতরণ এবং বিক্রয়ের জন্য সুপরিচিত”।
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিস বাণিজ্য বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে এই দপ্তর।
এই তালিকাভূক্তির পরপরই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সুরক্ষায় নিজের গোটা প্ল্যাটফর্মে সরকারী সংস্থার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে আলিবাবা।
টেনসেন্ট অপরদিকে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একেবারেই একমত নয়। তবে, প্রতিষ্ঠানটি “এই বিষয়টি সমাধানের জন্য সহযোগিতার সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ”।
টেনসেন্ট তার প্ল্যাটফর্মজুড়ে আইন লঙ্ঘনে বিষয়ে নজর রাখে, এসব কাজে বাধা দেয় বলে দাবি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকার রক্ষায় উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করার কথাও বলেছে।
এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোনও সরাসরি জরিমানা বা দণ্ডের মুখে ফেলবে না। তবে, এটি প্রতিষ্ঠানগুলোর সুনামের জন্য বড় আঘাত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
‘আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন’ (এএএফএ) এবং সিনেমা প্রযোজনা প্রাতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংগঠন ‘মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশন’ এই প্রতিবেদন প্রকাশকে স্বাগত জানিয়েছে।
শুল্ক, প্রযুক্তি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের মতো বিষয় নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ রয়েছে।