ই-কমার্স এবং ইকমার্স খাত সংশ্লিষ্ট ৩৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করলো ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই ক্যাব)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে “ই-কমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড (ইকমা) -” তুলে দেয় সংগঠনটি। ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি , ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ই-ক্যাবের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক বক্তৃতা করেন।
দ্বিতীয়বারের মতো দেওয়া এ সম্মাননায় বেস্ট ই-কমার্স মার্কেট-প্লেস হয়েছে দারাজ এবং বেস্ট ক্লাসিফায়েড ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বিক্রয় ডটকম। এছাড়া বেস্ট ই-কমার্স এনাবলার (প্ল্যাটফর্ম) হয়েছে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই), বেস্ট ই-কমার্স এনাবলার (বিপিও) স্কাই টেক এবং ইনোভেটর অব দ্য ইয়ার ফর ই-কমার্স হয়েছে উপায়।
বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো – বেস্ট টেক সলিউশন প্রোভাইডার – ব্রেইন স্টেশন২৩, বেস্ট ই-কমার্স এনাবলার (বিপিও) – স্কাই টেক, ইনোভেটর অফ দ্যা ইয়ার ফর ই-কমার্স – উপায়, বেস্ট ট্রাভেল টেক প্ল্যাটফর্ম – শেয়ারট্রিপ, বেস্ট সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম – সেবা এক্স ওয়াই জেড, বেস্ট এড টেক প্ল্যাটফর্ম – টেন মিনিটস স্কুল, বেস্ট সেক্টরিয়াল ইকমার্স – (ইলেকট্রনিক্স) পিকাবু, বেস্ট সেক্টরিয়াল ইকমার্স (বিটুবি) – শপ আপ, বেস্ট সেক্টরিয়াল ইকমার্স (বুকস) – রকমারি ডট কম, বেস্ট মার্কেটপ্লেস সেলার – বাটা, বেস্ট এফ কমার্স সেলার – রিবানা অরগ্যানিক, বেস্ট লজিস্টিক নেটওয়ার্ক ফর ই-কমার্স – পাঠাও, ইমার্জিং লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক ফর ই-কমার্স – স্টেডফাস্ত, বেস্ট লজিস্টিকস সলিউশন প্রোভাইডার – ডিজিবক্স, বেস্ট রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম – উবার, বেস্ট এগ্রোটেক প্ল্যাটফর্ম – ফসল, বেস্ট হেলথ টেক প্ল্যাটফর্ম – আরোগ্য, বেস্ট ফ্যাশন অ্যান্ড বিউটি ইকমার্স – সাজগোজ, বেস্ট প্ল্যাটফর্ম ফর গ্রসারি অ্যান্ড ডেইলি নিডস – চালডাল, বেস্ট এমএফএস ফর ইকমার্স – বিকাশ, বেস্ট পেমেন্ট গেটওয়ে ফর ইকমার্স মাস্টারকার্ড, বেস্ট পেমেন্ট গেটওয়ে ফর ইকমার্স (একয়ার ব্যাংক) ইস্টার্ন ব্যাংক, বেস্ট ব্যাংকিং সলিউশন ফর ইকমার্স – সিটি ব্যাংক, বেস্ট ব্যাংকিং সলিউশন ফর এসএমই – ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, বেস্ট পেমেন্ট সলিউশন প্রোভাইডার ফর ইকমার্স – নগদ, বেস্ট রিজিওনাল ইকমার্স – লাল সবুজ, বেস্ট ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স (ইলেকট্রনিক্স) – ওয়ালটন, বেস্ট ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স (হোম এপ্লায়েন্স) – সিঙ্গার, বেস্ট ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স (ফ্যাশন) – আরং, বেস্ট ক্রস বর্ডার প্ল্যাটফর্ম – একশপ, বেস্ট ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম – ফুডপ্যান্ডা, ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, খুবই অল্প সময়ে ই ক্যাব বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে নিজের তৈরি করেছে। আলিবাবা ডট কমের মতো প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বৃহৎ পরিসরে ব্যবসা করছে। আমরাও তেমন কাজ করতে পারি। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে যেসব সাহায্য দরকার, আমরা সেগুলো করবো। ইকমার্স এর মাধ্যমে আমাদের দেশের নারীরা নিজেদের স্বাবলম্বী করছেন। যদিও নারীদের একটা প্রতিষ্ঠান গঠন করে ব্যবসা করা অনেক সময় কঠিন হতে পারে। এজন্য আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে সে বিষয়টিও ভেবে দেখা উচিৎ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনে ই-ক্যাবকে আমরা পাশে পেয়েছি। একবার পেঁয়াজের দাম বাড়ল, আমরা টিসিবির পেঁয়াজ ই-ক্যাবের মাধ্যমে অনলাইনে দিলাম। কোরবানির পশু অনলাইনে বিক্রি শুরু করলাম। তবে এই পথে আমাদের আরও দূর যেতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবের নিবন্ধন পাওয়াটা খুব কঠিন ছিল। ই-ক্যাব একটা বীজ বপন করেছে। এখন এই বীজ থেকে চারাগাছ হবে, আর চারাগাছ থেকে বিশাল বৃক্ষ হবে। আমরা আশা করি এই ডিজিটাল বানিজ্যের আরও প্রসার হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের ই-কমার্স খাত গড়ে ওঠার পেছনে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। ইন্টারনেট, পেমেন্ট সলিউশন, লজিস্টিকস এবং ভরসা এই চারটি জিনিস অত্যাবশকীয় বিষয়। ইন্টারনেট জনগণের মাঝে সহজলভ্য এবং ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছিলেন তিনি। যে কারণেই আজ দেশে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। একইভাবে তিনি ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম এবং লজিস্টিকস এর জন্য কাজ করেছেন। এখন আমাদের দেশে ই-কমার্স আইন করা দরকার মনে করি যেন ভোক্তারা প্রতারিত না হয়। আমরা ১০ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করবো যাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সফলভাবে প্রশিক্ষণ নেওয়া নারী উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ল্যাপটপ পাবেন।