বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর কয়েক দশক আগেও কর্মক্ষেত্রে নারীদের পদচারণা চোখে পড়ার মতো ছিলো না। কিন্তু এখন নারীরা ঘরে বাইরে সব পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। নারীদের প্রতিষ্ঠিত হয়ে দাঁড়ানোর খুব ভালো মাধ্যম হতে পারে এই অনলাইন ব্যবসা।
আরিফিন পারভিন লিজা ১৯৮৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারী কুমারখালী পৌরশহরে কুণ্ডু পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, তিনিও একজন ব্যবসায়ী। মা আফরোজা খাতুন এক জন গৃহিণী। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২০১৬ সালে কুমারখালী সরকারি কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তার উদ্যোগের নাম “আরিফিন’স ড্রিম”।
উদ্যোক্তার হওয়ার শুরু দিকের কথা জানাতে চাইলে লিজা জানান, শুরুটা অনেক সহজ না হলেও পরিবার এবং বন্ধুদের সহযোগিতায় আমি এগিয়ে চলতে সাহস পেয়েছি। পড়াশুনা শেষ করে চাকরি ও সংসার করার পাশাপাশি নিজে কিছু একটা করার দৃঢ় ইচ্ছে থেকেই মাথায় আসে অনলাইন ব্যবসার প্ল্যান। তবে এ কাজে সবসময় তার স্বামী ও বাবা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেই সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির সাপোর্টের কথাও জানান তিনি।
কিধরনের পন্য নিয়ে কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আরিফিন’স ড্রিম” ভোক্তাদের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী পণ্য এনে থাকি। পণ্যের মধ্যে রয়েছে কুমারখালীর বিখ্যাত মিষ্টি, শাড়ি, থ্রিপিস, বেডসিট, পিলোকভার, শোপিস ইত্যাদি।
উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম(উই) এর অবদান কেমন আপনার উদ্যোগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এই খাবারের উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষেত্রে উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর অবদান অনেক বেশি। উই সব সময় দেশীয় পণ্যের উদ্যোক্তাদের জন্য সাপোর্টিভ জোন হিসেবে কাজ করছে। উইয়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র সময় বিনিয়োগ করে , নিজের পরিচিতি,পণ্য পরিচিতি করে আমার ব্যবসাকে অনেকদূর এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি। উই এর মাধ্যমে,ফোরামটির সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা আপুর সহযোগিতায় বিভিন্ন ধরনের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এর আন্তর্জাতিক কোর্স, মাস্টার ক্লাস সহ বহু সুযোগ পেয়েছি। এসব বিষয়কে কাজে লাগিয়ে আমার উদ্যোগকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছি। ই-ক্যাব এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ফোরামটির উপদেষ্টা রাজিব আহমেদ স্যারকে পরামর্শক হিসেবে পেয়ে আমি সত্যিই অনেক বেশি গর্বিত বোধ করি কারণ তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন আমাদের মত উদ্যোক্তাদের জন্য।