শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ভারতে উৎপাদিত ভিভো ফোন অন্য দেশে রফতানি নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। ভিভো কর ফাঁকির অভিযোগ শুধু ভারতে নয় বাংলাদেশেও ধরা পড়েছে বেশ কয়েকবার । ২০১৯ সালে তাদের বিরুদ্ধে ১৩০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ উঠে ।
সরকারের অভিযোগ, ভিভো তাদের ডিভাইসের মডেল এবং সেগুলোর দাম সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছে। এমন ডিভাইসের দাম দেড় কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় ১২৩ কোটি রুপি কম দেখিয়েছে।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রায় ২৭ হাজার ভিভো স্মার্টফোনের রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত সরকার।
ভারত সরকারের রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা, ডিভাইসের মডেল এবং তাদের মূল্য সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য ভিভোকে সমস্ত ধরনের চালান থেকে ‘ব্যান’ করেছে।
উল্লেখ্য, ভারতে এভাবে শিপমেন্টের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়ায়, অন্যান্য চীনা স্মার্টফোন সংস্থাগুলোর রফতানিকে নিরুৎসাহিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভিভোর বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে নয়াদিল্লি বিমানবন্দরে ভিভো কমিউনিকেশনস টেকনোলজি কোম্পানির তৈরি স্মার্টফোনগুলো ব্যান করেছে ভারতের রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ।
যদিও ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় ও ভিভো ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি সংস্থাটির এই পদক্ষেপকে অনেকে সমালোচনা করেছে। ইন্ডাস্ট্রি লবি গ্রুপ একে একতরফা ও হাস্যকর বলে বর্ণনা করেছে। তারা বলছে যে, এই জাতীয় অন্যায্য পদক্ষেপ ভারতে ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট উৎপাদন এবং রফতানিকে নিরুৎসাহিত করবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনে ভারতে কর ফাঁকির অভিযোগ উঠে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ব্যবসায় যে পরিমাণ লাভ করছে ভিভো, তার ৫০ শতাংশই চীনে পাঠিয়ে দিচ্ছে। লাভের ৬৩ কোটি গোপনে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ঔই সময় ৪৮টি জায়গায় তল্লাশি করে তদন্তকারী সংস্থা। পাশাপাশি সকল ব্যাংক একাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয় সরকার।