ল্যাপটপের প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজের অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য ৩৮ সেন্টিমিটার ম্যাকবুক উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল। কোম্পানির নিজস্ব এমটু চিপের মাধ্যমে চলবে ল্যাপটপটি। ব্যাটারির সক্রিয় থাকার ক্ষমতা ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত। কোম্পানির দাবি অনুসারে, ম্যাকবুক এয়ারটিই বিশ্বের সবচেয়ে সরু ল্যাপটপ। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।
ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপার্স কনফারেন্সে নতুন ম্যাকবুক এয়ারকে আগের ইনটেল নির্ভর ম্যাকবুক এয়ারের চেয়ে অন্তত ১২ গুণ বেশি দ্রুত বলে দাবি করা হয়।
অ্যাপলের হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন টারনাস বলেন, ‘দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও দারুণ ডিজাইন নিয়ে নতুন ম্যাকবুক এয়ারই এখন পর্যন্ত সেরা ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপ। এটা কেবল অ্যাপল সিলিকনের দ্বারাই সম্ভব।’ নতুন ম্যাকবুক এয়ার ছয় স্পিকারবিশিষ্ট। মাত্র ১১ দশমিক ৫ মিলিমিটার চওড়া ও ওজন দেড় কেজি। বাজারজাত করার পূর্ববর্তী সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে এখনই ক্রয়াদেশ জানাতে পারেন। আগামী সপ্তাহ থেকেই হাতে পৌঁছে যাবে।
অ্যাপলের বাজার সম্প্রতি নিম্নমুখী। ক্রমহ্রাসমান ক্রয়সূচককে বাড়ানোর জন্য নতুন পণ্য বাজারে আনতে মরিয়া। তাতে গ্রাহক আকর্ষণের পাশাপাশি তৈরি হবে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রয় ছিল ৯ হাজার ৪৮০ কোটি ডলার।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে পৌঁছেছে ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলার। প্রথম প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে পিসির সরবরাহ ছিল ৫ কোটি ৬৯ লাখটি। ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও ট্যাবলেটসহ সব মিলিয়ে পিসির বাজার বছরওয়ারি ২৯ শতাংশ কমেছে।
চাহিদা কমে যাওয়া ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা ল্যাপটপ ক্রয়ের হার কমিয়ে দিয়েছে। ক্রেতারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় উল্লেখযোগ্য পতন ঘটেছে সরবরাহে।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে পিসির বাজারের ৭ দশমিক ২ শতাংশ দখল করে রেখেছে অ্যাপল। জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ৪১ লাখ পিসি সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরে বিক্রি হওয়া ল্যাপটপের চাইতে ৪০ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এ সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে লেনোভো।
কোম্পানিটির বিক্রি হওয়া ল্যাপটপের সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ। এদিকে এইচপি ও ডেল বিক্রি করেছে যথাক্রমে ১ কোটি ২০ লাখ ও ৯৫ লাখ ল্যাপটপ। বাজারে এইচপি ও ডেলের অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়।
নতুন অ্যাপল ম্যাকবুকের দাম শুরু হয়েছে ১ হাজার ২৯৯ ডলার থেকে। বৈশ্বিক পরিচালনার জন্য অ্যাপল কার্বন নিরপেক্ষ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সব ধরনের পণ্যকে সেভাবেই প্রস্তুত করার ব্যাপারে মনোযোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তার মানে অ্যাপলের পরবর্তী প্রতিটা পণ্যই হবে কার্বন নিঃসরণ থেকে মুক্ত।