প্রথম কাস্টমার মিট আপে যাই দেলোয়ার ভাইয়ের আওয়ার শেরপুর এর। কাস্টমার মিট আপের অভিজ্ঞতা সেদিন থেকেই শুরু হয়। এরপর যার যার ক্রেতা আমি এবং যার যার মিট আপ হয়েছে মোটামুটি সব গুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।
★মিট আপ অভিজ্ঞতাঃ
প্রথমেই যে বিষয় টি অনুধাবন করেছি যে অবশ্যই অনলাইন ক্রেতা বিক্রেতার সুন্দর মেলবন্ধনের অন্যতম উপায় কাস্টমার মিট আপ। গুছানো অনুষ্ঠান, আনন্দ করে একটা দিন কাটানো, নিজেদের পরিচিতি বাড়ানো এবং কাস্টমার ফিডব্যাক নেওয়া সব কিছুই এই মিট আপের মাধ্যমে সম্ভব। সুতরাং, সব মিলে প্রথম মিট আপের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।
★আনন্দের বিষয়ঃ
প্রথম এই দিনই রাজিব আহমেদ সাথে দেখা হয়। কিন্তু সেদিন সাহস করে কোন কথাই বলা হয়নি স্যারের সাথে। তবে আনন্দের বিষয় ছিল রাত ৮ঃ৩০ পর্যন্ত স্যারের কথা শুনে যাওয়া। সেদিন ২/২ঃ৩০ ঘন্টা এক ভাবে দাড়িয়ে থেকে কেবল স্যারের কথা শুনে গেছি। একজন মানুষ কে ১ বছর ধরে অনুসরণ করেছি। তার কথা এবং পরামর্শ সামনে থেকে শোনা আনন্দের ছিল।
★ফিডব্যাকঃ
মাইক হাতে নিয়ে সবার সামনে সেদিন দেলোয়ার ভাইয়ের উদ্যোগ, আমার ভাল-খারাপ অভিজ্ঞতা বলা থেকে শুরু করে দীর্ঘ সময় যে কথা বলতে পারা এবং অনেস্ট ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য দেলোয়ার ভাইয়ের উৎসাহ দেওয়া এই সব ই ছিল কাস্টমার মিট আপ সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা জন্মানোর মূল দিক।
★মিট আপে কেন যাওয়া দরকার?
আসলে আমার মনে হয় মিট আপ গুলো তে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটি অন্যতম কারণ হলো এই যে আমি পোশাক কিনি,গয়না কিনি,খাবার কিনি তাদের সামনাসামনি দেখা। বুঝতে পারা ইত্যাদি এবন- সেই সাথে আমার জন্য যে পোশাক কিংবা গহনার ডিজাইন করেন তাদের সাথে দেখা হওয়া। বিশেষ করে যারা নিজ হাতে কাজ করেন তারা তো আমার পোশাকের ডিজাইনার কিংবা গহনার ডিজাইনার সুতরাং, তাদের সাথে দেখা হওয়া আনন্দের তো বটেই।
লেখক
মাহবুবা নূর