অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করে যেসব মাধ্যম থেকে আয় আসে তার সবচেয়ে বেশি আসে ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করে থাকেন।
যেখানে ম্যানুফ্যাকচারিং কাজে যুক্ত রয়েছে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ।
সম্প্রতি এক পরিসংখ্যান থেকে অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করে আয়ের একটি হিসাব তুলে ধরেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটা। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে, যার পরিমাণ ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। হিসাবটি ২০১৭ সালের ডেটা থেকে করা হয়েছে।
আর ইউটিউব থেকে আসা এ আয় তার আগের বছর বা ২০১৬ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। দেশটিতে সব বয়সের মানুষজন এখন অনলাইনে কনটেন্ট তৈরি করে আয় করার দিকে মনোযোগ দিয়েছে বলেও জানাচ্ছে প্রতিবেদনটি।
সেই মনোযোগের ফলেই এই আয় বাড়ছে। ইউটিউবের পরেই রয়েছে হ্যান্ড-ক্রাফট তৈরির প্রতিষ্ঠান ইটসির কনটেন্ট তৈরি করে আয়। এই ব্র্যান্ডটি থেকে কনটেন্ট তৈরি করে আয় আসে ১৪৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি।
যা আগের চেয়ে বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। ছবি শেয়ারিংয়ের জনপ্রিয় মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ২০১৭ সালে হয়েছে ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার, ওয়ার্ডপ্রেসের আয় ২০১৬ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, অ্যামাজন থেকে ২২ কোটি মার্কিন ডলার, থাম্বলার থেকে আয় ২২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার এবং টুইচ থেকে আট কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার আয় এসেছে।
এসব কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে ভিডিও, ব্লগ পোস্ট, বই রিভিউ, মন্তব্য, ভিডিও গেইম, ফটোগ্রাফি, চিত্রকলা, থ্রিডি প্রিন্টার ডিজাইন, সব ধরনের সঙ্গীত, হাতে তৈরি অবজেক্ট এবং আরও অনেক ধরনের কনটেন্ট থেকে। বাংলাদেশেও ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে অনেকেই এখন আয় করছেন। শুধু ইউটিউব নয়, অন্যান্য সাইট থেকেও বাংলাদেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা এখন আয় করছেন।