বলুন তো কোন দেশ প্রাচীর দিয়ে ঘেরা বা মহাপ্রাচীর রয়েছে কোন দেশে। এটা বললে আপনার মাথায় প্রথম উঁকি দেবে চীনের মহাপ্রাচীরের কথা। যাকে চীনা ভাষায় বলা হয় ছাংছং। এটার অর্থ দীর্ঘ দেয়াল। মহাপ্রাচীর নির্মাণ শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে। প্রাচীর তৈরির কারণ ছিল বহিঃশত্রুর হাত থেকে চীনকে বাঁচানো। এই প্রাচীর আকারে এতই বড় ছিল যে মানুষ মহাশূন্যে যাওয়ার অনেক আগেই দাবি করে বসেছে, মহাশূন্য বা চাঁদ থেকে নাকি এই প্রাচীর দেখা যায়।
কিন্তু ১৯৬৯ সালে প্রথমবার মানুষ চাঁদে যাওয়ার পরই জানা গেছে প্রকৃত সত্য। যারা চাঁদে গেছিলেন তারা এটি দেখতে পাননি। আসলে চাঁদ থেকে খালি চোখে পৃথিবীর কোন কিছুই দেখা সম্ভব না। তবুও ধারণাটা একেবারে বাতিল হয়ে যায়নি। কিছু মানুষ এখনো দাবি করে যে, চাঁদ থেকে মহাপ্রাচীর দেখা যায়। মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে গেলেই পৃথিবীর কোন কিছু খালি চোখে দেখা যায় না।
সে হিসেবে চাঁদ পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। কাজেই চাঁদ থেকে খালি চোখে এ মহাপ্রাচীর দেখার কোনো সুযোগ নেই। তাহলে যারা দাবি করে তারা কিসের প্রেক্ষিতে তা করেছিল? ১৯৩৮ সালে আমেরিকান লেখক রিচার্ড এর একটি বই বের হয়।
ওই বইয়ের রিচার্ড লিখেছিলেন যে, চাঁদ থেকে মানব সৃষ্ট একটি নির্মাণ দেখা যায়। আর এটি হল চীনের মহাপ্রাচীর। কিন্তু তখনও মানবজাতি চাঁদ জয় করতে পারেনি। কোন ধরনের যাচাই ব্যতীত এ ধরনের তথ্য বইয়ে লেখা হয়েছিল তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর ছবি তোলা হবে এ ধরনের কোন অবস্থা তখন ছিল না। ১৯৬২ সালে বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে প্রথমবারের মতো মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর ছবি তোলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ছবিটি তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
তার ওই ছবিতে চীনের মহাপ্রাচীর দেখা যায়নি। তবে চাঁদ থেকে খালি চোখে চীনের মহাপ্রাচীর কোন ভাবে দেখা সম্ভব হয়নি। মহাশূন্য থেকে চীনের মহাপুরাচীর দেখার অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে চীনের বিমানবন্দর সহ অন্যান্য স্থাপনা চোখে পড়ল মহাপ্রাচীর দেখা যায়নি। ২৮৯ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে এটি দেখার চেষ্টা করা হয়েছিল।