দিন যত যাচ্ছে আর্টিফিসিয়াল রোবট আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম আরো ততটা সহজ করে দিয়েছে। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে কোন না কোন ভাবে আমরা এ ধরনের আর্টিফিসিয়াল রোবট গুলোকে ব্যবহার করছি। নিজেদের জানতে অথবা অজান্তে…
ছোটবেলা থেকে বইয়ের পাতায় পড়ে আসছি , যত দিন যাচ্ছে মানুষের কাজের পাল্লা আরও অথবা হালকা করতে নিত্যনতুন রোবট বাজারে আসছে । চলুন এমন চারটি বিস্ময়কর রোবট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যারা কিনা রোবট এর চেয়েও বেশি কিছু:
জিরাফ রোবটঃ
জিরাফের মতো অলস না হলেও আকার আকৃতি এবং গঠনগত দিক দিয়ে এ রোবট এর নামকরণ করা হয়েছে ।জিরাফ রোবট জিরাফ বেশ কর্মঠ । এটি তার মাথা দিয়ে গৃহস্থালির সব কাজ করে দিতে পারে ঠিক আপনার হাতের মত । মাত্র ২৫ গ্রাম ওজনের এই রোবটটি দেখলে বোঝা যাবে না এর ওজন এত কম । এটি খুব স্মর্টলি গৃহস্থালির সকল কাজ করে দিতে পারে ।
পেঙ্গুইন রোবটঃ
পেঙ্গুইন রোবটের সাথে বাস্তব পেঙ্গুইনের অদল-বদল দেওয়া যাবে । কেবলমাত্র এর নীল চোখ না থাকলে বোঝার উপায় নেই। কোনটি আসল পেঙ্গুইন এবং রোবট পেঙ্গুইন এই পেঙ্গুইন মূলত তৈরি করা হয়েছে । পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় শত্রু পক্ষের ওপর নজরদারি করার জন্য । যারা এর নির্মাতা তারা কেবলমাত্র একটি পেঙ্গুইন রোবট তৈরি করেছেন। যেটির নামকরণ করা হয়েছে পেঙ্গুইন রোবট। পেঙ্গুইন রোবটের নির্মাতা অ্যালোন জুকারবার্গ। তিন মিলিয়ন ডলারের বিনিময় এই রোবটটি আমেরিকা সামরিক বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেন।
স্নেক রোবটঃ সাপ দেখে আমরা কমবেশি সবাই ভয় পাই। তবে স্নেক রোবট দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কেননা এই রোবটটি কেবলমাত্র বানানো হয়েছে মানব কল্যাণের জন্য । এ স্নেক রোবটের ভেতরে থাকা বন্ড গুলো এতটাই শক্তিশালী যে অনেক সময় এটি পানির নিচে ডুবে পড়া জাহাজ উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে । সম্প্রতি সময় পানির নিচে ডুবে যাওয়া সাবমেরিন উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল এই স্নেক রোবট ।
রোবটিক ফিশঃ
রোবটিক ফিস মাছের মতো দেখতে একটি রোবট প্রথমদিকে রোবটিক ফিস ছিল অকর্মণ্য একটি রোবট। পরবর্তীতে এটিতে এমন একটি সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছিল যেটির মাধ্যমে পানির তলদেশে থাকা গুপ্তধন উদ্ধারের কাজে এটিকে ব্যবহার করা হতো ।