বাজারে এসেছে মাইক্রোসফটের হলোলেন্স ২ হেডসেট। হেডসেটটির দাম ধরা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার। বিশ্বের অন্তত হাফ ডজন দেশ থেকে আগ্রহী ক্রেতারা প্রি-অর্ডার করেছিলেন হেডসেটটি পেতে। শুরুতে সে সব ক্রেতার হাতেই হেডসেটটি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
নতুন হলোলেন্স ২ হেডসেটটিতে আরও বড় ফিল্ড অফ ভিউ এবং উন্নত জেশ্চার নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। যোগ করা হয়েছে আই ট্র্যাকিং ও হ্যান্ড ট্র্যাকিংয়ের মতো সুবিধা। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্যের বাজারের জন্য ছাড়া হয়েছে হেডসেটটি।
প্রশ্ন হলো, হলোলেন্স হেডসেট আদতে কী? এটি আসলে মাইক্রোসফটের অগমেন্টেড রিয়ালিটি হেডসেট। এর প্রথম মডেল ‘হলোলেন্স ১’ বাজারে এসেছিল ২০১৬ সালে। ওই মডেলটি মাইক্রোসফট তৈরি করেছিল প্রযুক্তি উৎসাহীদের কথা চিন্তা করে। প্রথম হলোলেন্স হেডসেটে দেওয়া হয়েছিল গেইমস এবং আর্ট বিষয়ক বেশ কিছু অ্যাপ। কিন্তু নতুন হলোলেন্স ২ হেডসেটের বেলায় সে চিন্তা থেকে অনেকটাই সরে এসেছে মাইক্রোসফট। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হবে হলোলেন্স ২।
মূলত উৎপাদন এবং সারাইয়ের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে হেডসেটটি বাজারে এনেছে মাইক্রোসফট। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য ‘হ্যান্ডস-ফ্রি-হেডস-আপ ডিসপ্লে’ হিসেবে কাজ করবে হেডসেটটি। সাধারণ ক্রেতাদের হাতে পণ্যটি না আসার সম্ভাবনাই বেশি বলেই উল্লেখ করেছে ভার্জ।
হলোলেন্স ২ হেডসেটের ব্যবহার অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে মাইক্রোসফট। এতে করে সাধারণ প্রযুক্তি জ্ঞান নিয়েও সহজেই চালানো যাবে হেডসেটটি। প্রথম হলোলেন্স হেডসেটের ‘ফিল্ড অফ ভিউ’ ছিলো ৩৪ ডিগ্রি, সেখানে নতুন মডেলটির ‘ফিল্ড অফ ভিউ’ রাখা হয়েছে ৫২ ডিগ্রি।
উল্লেখ্য, মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্যও ‘বিশেষ সংস্কণের’ হলোলেন্স তৈরি করে দিয়েছিল মাইক্রোসফট। মার্কিন সেনাবাহিনী নিজেদের বিতর্কিত ‘ইন্টেগ্রেটেড ভিজুয়াল অগমেন্টেশন সিস্টেম’ প্রকল্পে হেডসেটটি ব্যবহার করছে। হলোলেন্স প্রসঙ্গে মাইক্রোসফটের জনসংযোগ পরিচালক গ্রেগ সালিভান বলেছেন, ‘প্রথম যখন হলোলেন্স বাজারে আসে, তখন অনেকেই প্রশ্ন করেছিল, এটা আবার কী? এবারে কিন্তু তা করছে না। ছোটখাট হলেও একটি ভোক্তা বাজার পেয়েছে পণ্যটি।’