চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) স্মার্টফোন, টিভি এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য বিক্রির মাধ্যমে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কোম্পানি লিমিটেডের ৪৫ শতাংশ মুনাফা বেড়েছে। তবে তুষার ঝড়ের কারণে মার্কিন কারখানায় চিপ উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ বিভাগে লোকসানের মুখে রয়েছে সংস্থাটি। তবে বর্তমানে এ ধাক্কা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠেছে স্যামসাং। খবর রয়টার্স।
রেফিনিটিভ স্মার্ট এস্টিমেটের ১৬টি গবেষণার তথ্যানুযায়ী, এ প্রান্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার এ টেক জায়ান্টের সম্ভাব্য আয় ৮২০ কোটি ডলার। মহামারীর কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছিল। ফলে গৃহবন্দি অবস্থায় মানুষ গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক পণ্য, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও কম্পিউটারসহ বিবিধ পণ্য ক্রয় করেছে।
২০১৮ সালের পর কোনো বছরের প্রথম প্রান্তিকে এটিই হবে স্যামসাংয়ের সর্বোচ্চ আয়। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি সপ্তাহেই স্যামসাং এ প্রান্তিকে নিজেদের বাজার অবস্থার প্রাক-প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে বলে জানা গেছে।
মূলত স্যামসাংয়ের মোবাইল ডিভিশন এ প্রান্তিকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল। জানুয়ারির মাঝামাঝি গালাক্সি এস২১ উন্মুক্ত করার মাধ্যমে বাজারে ভালো প্রভাব বিস্তার করে এ প্রতিষ্ঠান।
কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, এ প্রান্তিকে স্যামসাং বৈশ্বিক বাজারের ২৩ শতাংশ নিজেদের আয়ত্তে আনতে পেরেছে। এর পেছনে মূলত এস২১র বাজারজাত ও প্রিমিয়াম ডিভাইসগুলোকে তুলনামূলক কম দামে বিক্রিই জড়িত। যেমন গ্যালাক্সি এস২১ পূর্বের এস২০-এর থেকে ২০০ ডলার কমে বাজারজাত করা হয়।
এছাড়া গ্যালাক্সি ইয়ারবাডও স্যামসাংয়ের বাজার বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। সেই সঙ্গে স্যামসাংয়ের টিভি এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য বিক্রির মাধ্যমে এ প্রান্তিকে প্রায় ৮৮ কোটি ৬৫ লাখ ডলার মুনাফা অর্জন করবে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বজুড়ে চিপের বাড়তি চাহিদা থাকলেও এ খাতে স্যামসাংয়ের সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি লোকসানের মুখে পড়বে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তুষার ঝড়ের কারণে টেক্সাসের একটি কারখানায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়ে স্যামসাং। তবে মার্চের শেষ দিকে ওই কারখানার উৎপাদন আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে প্রতিষ্ঠানটি সূত্রে জানা গেছে।
গবেষকরা ধারণা করছেন টেক্সাসের কারখানায় উৎপাদন বন্ধের কারণে স্যামসাং ১ হাজার ২৪২ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।