১২ ন্যানোমিটার ক্লাস প্রসেস প্রযুক্তির মাধ্যমে ১৬-গিগাবিট ডিডিআরফাইভ ডির্যামের উৎপাদন শুরু করেছে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস। সম্প্রতি কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যতম মেমোরি চিপ উৎপাদনকারী কোম্পানি জানায়, নতুন ডির্যাম চিপ প্রতি সেকেন্ডে ৭.২ গিগাবিট গতিতে কাজ করবে। অর্থাৎ এটি কয়েক সেকেন্ডে ৩০ গিগাবাইটের ইউএইচডি চলচ্চিত্র প্রক্রিয়া করতে পারবে। স্যামসাংয়ের নতুন ডির্যামটি ডাটা সেন্টার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটিংয়ে সহায়তা করবে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ডির্যাম পণ্য ও টেকনোলজি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লি জু-ইয়াং বলেন, ‘ভিন্ন প্রসেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্যামসাং যে ১২ ন্যানোমিটার ক্লাস ডিডিআরফাইভ ডির্যাম তৈরি করছে তা অধিক কার্যকর ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।’
তিনি আরো বলেন, ‘ডির্যাম বাজারে নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নতুন চিপ তারই প্রতিচ্ছবি। এক্ষেত্রে যে শুধু অধিক দক্ষতা ও সক্ষমতাকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা নয়। পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের সলিউশনকেও বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’
আগের জেনারেশনের তুলনায় স্যামসাংয়ের নতুন ১২ ন্যানোমিটার ক্লাস ডিডিআরফাইভ ডির্যাম ২৩ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারে। পাশাপাশি ওয়াফারের উৎপাদন সক্ষমতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্টটি।
স্যামসাং আরো জানায়, বিদ্যুৎ সাশ্রয় ও অধিক উৎপাদন সক্ষমতার মাধ্যমে নতুন ডির্যাম পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর অ্যাপ পরিচালনায় সহায়তা করবে। এছাড়া এটি তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে তাদের সার্ভার ও ডাটা সেন্টারগুলোকে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও কম কার্বন নিঃসরণকারী হিসেবে তৈরি করতে পারবে।
প্রযুক্তি জায়ান্টটির তথ্যানুযায়ী, হাই কাপা উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ১২ ন্যানোমিটারের ক্লাস প্রসেস প্রযুক্তির উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এর মাধ্যমে সেলের ক্যাপাসিটেন্স বা বিদ্যুৎ ধারণ সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। স্যামসাং জানায়, উচ্চ ধারণ বা সংরক্ষণ সক্ষমতা ডাটা সিগনালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফলে সেল থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী চার্জ ব্যবহার করা যায়। কম বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে তেমন শব্দও তৈরি হয় না। ফলে এর ব্যবহার ভালো ফল দিয়ে থাকে।
গত ডিসেম্বরে এএমডির সঙ্গে কাজ করার জন্য ১৬-গিগাবিট ডিডিআরফাইভ ডির্যামের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে স্যামসাং। এছাড়া ডির্যাম বাজারে পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে আসার জন্য অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে কাজ করছে বলে জানা গেছে।