দেশের ডিজিটাল কমিউনিটির মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ও ইন্টারনেটে দায়িত্বশীল আচরণ করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তায় টিকটক #হইসচেতন নামে একটি পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট শুরু করেছে। দেশের খ্যাতিমান অভিনেত্রী সহ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার সেলিব্রিটি মেহজাবিন চৌধুরী, ইমরান মাহমুদুল, রথি আহমেদ, সামিরা খান মাহি, পড়শি, আরেফিন রুমি, হাবিব ওয়াহিদ, নওরিন আফরোজ পিয়া, আফরা মিমো, শাবা সিদ্দিকী, হামজা খান, অমি, জয় সরকার বাপ্পী, শান্ত এবং আরও অনেকেই টিকটকের সঙ্গে যুক্ত হয়ে #হইসচেতন বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
টিকটক সবসময় নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। #হইসচেতন সেই পথে আরেকটি পদক্ষেপ। ধারাবাহিক সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি, টিকটকের #আপনিনিরাপদথাকলেঅ্যাপনিরাপদ বৃহত্তর সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এই পাবলিক সার্ভিস অ্যানাউন্সমেন্ট ক্যাম্পেইন চালু হয়েছে। এর লক্ষ্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুশীলন করতে ব্যবহারকারীদের সচেতন করা।
লক্ষ লক্ষ মানুষের বিনোদনের একটি প্লাটফর্ম হিসেবে টিকটকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও গোপনীয়তা। অ্যাপের মাধ্যমে সুরক্ষা দিতে টিকটক বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব বাড়িয়েছে যেমন, প্রাইভেসি সেটিংস, ফির্টার, ইন-অ্যাপ রিপোর্টিং, কমিউনিটি গাইডলাইন তৈরি এবং স্থানীয় ভাষা সংযোজন।
টিকটকের মুখপাত্র বলেন, ‘অনলাইনে দায়িত্বহীন আচরণ পুরো খাত জুড়েই উদ্বেগ ছড়ায়, যা একটা যৌথ দায়বদ্ধতা। টিকটক বিনোদনের শীর্ষস্থানীয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও তৈরির প্লাটফর্ম, যাতে ব্যহারকারীরা স্বাধীনভাবে তাদের সৃজনশীলতা দেখাতে পারেন; আমাদের কমিউনিটির সুরক্ষা ও কল্যাণের জন্য অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপগুলো আমরা অব্যাহত রাখবো। আমরা যেকোন প্রকারের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিতে ও অ্যাপটির নিরাপদ এবং ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ।’
অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী বলেন, ‘টিকটকের #হইসচেতন ক্যাম্পেইনে আমি আমার সমর্থন ব্যক্ত করছি। আমি এটাকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটা অসাধারণ উদ্যোগ মনে করি। উদ্যোগটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সজাগ করতে এবং অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে আচরণ সম্পর্কে সচেতন করতে কাজ করবে।’
গীতিকার ও প্লেব্যাক গায়ক ইমরান মাহমুদুল বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, যখন আমরা অনলাইন ও অফলাইন ইভেন্টের কোনো কিছু যাচাই করি তখন সেটার দায়বদ্ধতা আমাদের সবার মধ্যেই থাকে। #হইসচেতন ক্যাম্পেইনের সহযোগী হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। নিরাপদ ইন্টারনেট নিয়ে টিকটকের এই সচেতনতার প্রচেষ্টাকে আমি সমর্থন জানাই।’
গত বছর বিশ্ব ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে টিকটক বাংলাদেশে #আমরাসেফইন্টারনেটসেফ ক্যাম্পেইন করেছিল। দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ওই উদ্যোগে সামাজিক মাধ্যমের নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়টি ছড়িয়ে দেয়া হয়। নিরাপদ অ্যাপ ব্যবহারের পরিবেশ তৈরির জন্য টিকটক তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা এ জন্য বিভিন্ন সুরক্ষা সচেতনতার মাধ্যমে এবং অ্যাপের বিভিন্ন ফিচারের মাধ্যামে এটি নিশ্চিত করি।
টিকটকের নিরাপত্তার প্রচেষ্টা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন:
https://www.TikTok.com/safety/