সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় ছদ্মবেশী অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বাড়ছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে কাছের মানুষ বা বন্ধুদের সরাসরি মেসেজ দেয়া হয়। কিন্তু অসাবধানতাবশত অনেকেই চিনতে না পারলেও কথোপকথন চালিয়ে যায়। অ্যাকাউন্ট যদি চেনা না যায় তাহলে বুঝতে হবে অ্যাকাউন্টটিতে হ্যাকার রয়েছে এবং ছদ্মবেশ নিয়েছে।
অন্যের অ্যাকাউন্টে ছদ্মবেশ ধারণ হ্যাকারদের জন্য নতুন কিছু নয়। তাই ব্যবহারকারীদের অনলাইনে নিজ তথ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ইনস্টাগ্রামে ছদ্মবেশের শিকার হয়েছে—এমন ব্যক্তিই কেবল রিপোর্ট করতে পারবে। তবে কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে কাছের বন্ধু বা ব্যক্তি তাকে সহায়তা করতে পারবে।
প্রথমেই ছদ্মবেশের শিকার ব্যক্তির সঙ্গে ই-মেইল বা সেলফোনে যোগাযোগ করতে হবে। যেন এ বিষয়ে তিনি রিপোর্ট দেয়ার জন্য সতর্ক হন।
দ্বিতীয়ত ছদ্মবেশের শিকার হওয়া ব্যক্তিকে সরাসরি মেসেজ পাঠানো যায়। মেসেজে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা জানাতে হবে।
নিজের কোনো অ্যাকাউন্ট ছদ্মবেশের শিকার হলে নিজেই ফরর্ম পূরণ করে রিপোর্ট করা যাবে। এছাড়া অ্যাপ থেকে বা ইনস্টাগ্রাম ডটকম স্ল্যাশ হ্যাকড ভিজিট করে রিপোর্ট করা যাবে। ছদ্মবেশী এ আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়।
প্রথমেই টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (টুএফএ) চালু এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড বা পাসফ্রেজ ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে অপরাধীদের জন্য কেবল ফরগট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টের দখল নেয়া কঠিন হবে। এরপর যে ইমেইল ও সেলফোন নাম্বার ইনস্টাগ্রামে ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো হালনাগাদ বা ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে।
বাস্তব জীবনের মতোই অপরিচিত কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার ঠিকানা বা ফোন নাম্বারের মতো একান্ত ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল তথ্য ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করা যাবে না। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং অ্যাপ সেটিংস থেকেই নিরাপত্তা স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।