আগের মতো এখন আর কেউ স্মার্টফোনে গান ডাউনলোড করে রাখে না। গান শুনতে ইচ্ছা হলে অনলাইন থেকে বিভিন্ন অ্যাপারে মধ্যেমে শুনছে সাবাই। এতে করে যেমন স্মার্টফোনের স্টোরেজ দখল হচ্ছে না ঠিক তেমনি ভাইরাসের আক্রমনও কম হচ্ছে। আবার অনেকেই খুঁজছেন কোন অ্যাপ দিয়ে ডাউনলোড না করেও গান শোনা যায় তার সন্ধান।
এ রকম অনেক অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে রয়েছে। এগুলো দিয়ে শুধু গান শোনাই নয়, সেগুলোকে সেভ করে রাখা যায়, যা ইন্টারনেট ছাড়াও পরবর্তী সময়ে শুনতে পাওয়া যায়। এমন কয়েকটি অ্যাপের কথা তুলে ধরা হয়েছে এ লেখায়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক অ্যাপগুলো সম্পর্কে। বিস্তারিত লিখেছেন মাহবুব শরীফ
সস্তার ইন্টারনেট প্রাপ্তিতে এখন স্মার্টফোনে গান সেভ রাখার অভ্যেস অনেকেরই নেই। যে মুহূর্তে যে গানটা শুনতে ইচ্ছা করে একক্লিকে অনলাইনেই তার সন্ধান মেলে। সেভ রেখে আবার অফলাইনেও তা শুনে নেওয়া যায়। কিন্তু এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে, যেখান থেকে গান শুনতে গেলে আপনার সাধের মোবাইলটি ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই জেনে নিন মোবাইলে কোন মিউজিক অ্যাপগুলি রাখবেন গান শোনার জন্য। রইল পাঁচটি অ্যাপের সন্ধান যেখানে বিনামূল্যেই শুনতে পারবেন গান।
জিয়ো সাভান
অল্পদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাভান মিউজিক অ্যাপটি। বলিউড-হলিউড তো বটেই নানা আঞ্চলিক ভাষার গানও শোনা যায় এই অ্যাপে। ইউজার নিজের মতো করে প্লে-লিস্টও বানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়াও Saavn Originals নামের একটি ক্যাটাগরিও রয়েছে। যেখান থেকে অন্যরকম মিউজিক ডাউনলোড করে শুনতে পারবেন যে কোনো সময়। এসবই পাবেন বিনামূল্যে। আরও আকর্ষণীয় কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে এই অ্যাপে। যদিও সেসব পেতে গেলে প্রতিমাসে প্রায় দেড়শ টাকা গুণতে হতে পারে আপনাকে।
সাউন্ডক্লাউড
জার্মানের এই মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপটিতে আন্তর্জাতিক মিউজিকের অফুরন্ত কালেকশন রয়েছে। নানা নামী-অনামী গায়কের অজানা-অচেনা গান খুঁজে পাওয়া যাবে এখানে। শুধু গান শোনাই নয়, আপনিও নিজের গান এখানে আপলোডও করতে পারবেন। নিজের পছন্দের গায়কের গানের নিচে কমেন্টও করার সুযোগও পাবেন। এছাড়াও লাইক, শেয়ার, রিপোস্টও করতে পারেন নিজের ফেভরিট ট্র্যাক। ভাবছেন এসব কিছুর জন্য কত খরচ হবে? না, কোনো মূল্য দিতে হবে না আপনাকে।
গুগল প্লে মিউজিক
অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের অনেকেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন। এর ফ্রি ভার্সানটিতে ভারতীয় গানের সঙ্গে শোনা যায় রেডিও-ও। এছাড়াও অনলাইন গুগল ক্লাউড লাইব্রেরির সৌজন্যে ৫০ হাজার পর্যন্ত গান বিনামূল্যে আপলোড করা যায়। গুগল অ্যাকাউন্ট খুলে যে কোনও স্মার্টফোন থেকেই গুগল প্লে মিউজিকে গান শোনা যায়।
ইউটিউব
এ অ্যাপের কথা জানেন না বা ব্যবহার করেন না, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই অ্যাপে বিনামূল্যে অনলাইন ও অফলাইনে গান শোনা যায়। দেখা যায় অফুরন্ত ভিডিও। একনজরেই জেনে নেওয়া যায় গানের খুঁটিনাটি। যেমন গায়ক ও ছবির নাম, সুরকারের পরিচয় ইত্যাদি। যে সব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন, নতুন গান বা ভিডিও এলে সেখান থেকে আসবে নোটিফিকেশনও। বর্তমানে আবার অর্থের বিনিময়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশনে মিলবে আরও নানা সুযোগ-সুবিধা।
ম্যাক্সক্লাউড
আপনার পছন্দ অনুযায়ী জোনার বেছে নিতে পারেন এখানে। ডিস্ক জকিদের কাছে এই অ্যাপটি দারুণ আকর্ষণীয়। কারণ নানা ধরনের মিক্স মিউজিকে আপডেটেড থাকে অ্যাপটি। তবে পুরোটাই আপনাকে শুনতে হবে অনলাইনে। ইচ্ছামতো ফ্রি অডিও শোও উপভোগ করতে পারবেন।