অডিওজগতে হঠাৎ করেই চমৎকার সাউন্ডের সব হেডফোন নিয়ে বাজার মাত করেছে চীনা ব্র্যান্ড ‘দ্য ফ্রেগ্রেন্ট জিথার’ বা ‘টিএফজেড’। তাদের বেশ উচ্চদামের একটি মডেল, ‘টাকিলা ১’। যে দামে অনেক ক্রেতা পুরো ফোন কিনে ফেলছেন, সে দামে বিক্রি হচ্ছে এই হেডফোন। কিন্তু ব্যবহারকারীদের দাবি, দামটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক।
সাধারণত হেডফোনের সাউন্ড সমানভাবে সব ফ্রিকোয়েন্সি দেয় না। কোনো হেডফোন দেয় অতিরিক্ত বেইস, কোনোটি দেয় মিড-ভোকাল এবং কিছু হেডফোন উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির ট্রেবলের কারণে মাথা দেয় ধরিয়ে। টাকিলা সেই জায়গায় ব্যতিক্রম। প্রায় ফ্ল্যাট সাউন্ডের এ হেডফোনটির সঙ্গে আরো অনেক বেশি দামি হেডফোনের দারুণ মিল আছে।
যেহেতু প্রায় ফ্ল্যাট সাউন্ড, তাই ‘টাকিলা ১’ সব ঘরানার সংগীতের সঙ্গেই মানিয়ে যায়। রক, মেটাল, পপ, রবীন্দ্রসংগীত, উচ্চাঙ্গ, অর্কেস্ট্রা থেকে শুরু করে হালের ইলেকট্রনিক—কিছুর সঙ্গেই বেমানান লাগবে না।
সাউন্ড স্টেজ ওপেনব্যাক বা পেছনে খোলা হেডফোনের চেয়ে কম ঠিকই; কিন্তু পুরোপুরি বদ্ধ হেডফোনের মতো একেবারেই নয়। সিনেমা দেখার সময় বা গেইম খেলার সময় কোথা থেকে কী সাউন্ড আসছে, তা পুরোপুরি বোঝা যাবে। ইনস্ট্রুমেন্ট সেপারেশন বা সংগীতের মধ্যে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রগুলো আলাদা করে বোঝা যাবে। তাই বলে সেসবে হারিয়ে যাবে না শিল্পীর কণ্ঠও।
বেইস আর মিড-ভোকাল সম্পূর্ণ সঠিক মাত্রায় এতে পাওয়া যাবে। যাঁরা কান ফাটানো মাথা ঝাঁকানো বেইস চাচ্ছেন, তাঁদের কাছে কম মনে হতে পারে; কিন্তু সেটি আসলে সংগীতকে নষ্টই করে, যেমন অতিরিক্ত রং নষ্ট করে ছবি। ট্রেবলে হালকা পিক আছে মনে হতে পারে, তবে তা খেয়ালে আনাও দুষ্কর।
সেনসিটিভিটি অনেক বেশি হওয়ায়, টাকিলা ১ চালাতে প্রয়োজন নেই খুব শক্তিশালী অ্যাম্পের। একেবারে সাধারণ ফোনেও জোরালো আওয়াজ পাওয়া যায়। সঙ্গে পাওয়া যাবে একটি হার্ড কেইজ, ছয় জোড়া সিলিকন টিপ এবং এক জোড়া ফোম টিপ। শুধু মূল্য কিছুটা চড়া, ৯ হাজার ৫০০ টাকা। দেশের বাজারে এক বছরের ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাচ্ছে।