গত সোমবার থেকে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল চীনে তাদের ৪২টি স্টোরের মধ্যে ২৯টি সীমিত সময়ের জন্য খোলা রাখছে। দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সব স্টোর, কারখানা, অফিস ও যোগাযোগ কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল চীনের ওয়েবসাইটে স্টোরগুলো সাময়িকভাবে চালুর কথা জানানো হয়েছে। দিনের বেলায় মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হবে এসব অ্যাপল স্টোর।
বিবৃতিতে জানানো হয়, কুইবাওতে অবস্থিত ‘অ্যাপল সেভেন ট্রেজার্স’ এবং ‘অ্যাপল হংকং প্লাজা’-এর মতো অন্যান্য অ্যাপল আউটলেটগুলো বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অ্যাপলের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এ সময়সূচি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, অ্যাপল চীনে তাদের স্টোরগুলো পুনরায় চালু করছে এবং যতটা সম্ভব নিরাপদে থেকে কাজ চালিয়ে যাবে। চীনে প্রতিষ্ঠানটির সব করপোরেট অফিস এবং যোগাযোগ কেন্দ্রগুলো খোলা রয়েছে। অনলাইনে স্টোরগুলো চালু থাকায় শিগগিরই এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল। তাছাড়া চীনের বাইরেও পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না।
চীনে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মহামারী আকারে দেখা দেয়ায় কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে দূরে রাখতে দেশটিতে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অ্যাপল কর্তৃপক্ষ। বৈশ্বিক জায়ান্টটির পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহের ক্ষেত্রে এখনো বৃহৎ বাজার চীন। তবে গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) অ্যাপলের পণ্য উৎপাদন এবং সরবরাহে কিছুটা শ্লথগতি রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।
গত মাসে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার রাজস্ব আয়ের যে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, তা পূরণ সম্ভব হবে না বলে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছিল মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল। আইফোন উৎপাদন ও বিক্রি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী আইফোন সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক খাতে বেশ ভালোই প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস।
যদিও আইফোন উৎপাদনের অংশীদারি সাইটগুলো হুবেই প্রদেশের বাইরে অবস্থিত এবং সব স্টোর, অফিসগুলো আবার চালু হয়ে গেলে ধীরে ধীরে এ স্থবির অবস্থা থেকে বের হতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে অ্যাপল-সংশ্লিষ্টরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সর্বশেষ পরামর্শের ভিত্তিতেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনে অবস্থিত ৪২টি স্টোরই বন্ধ করে দিয়েছিল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি।