টিএন্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি ডিজিটাল পাঠ্যক্রমের আওতাভূক্ত করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা এনড্রয়েড মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রচলিত পাঠ্যসূচি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কার্টুন, শব্দ অথবা গেইম আকারে পাচ্ছে। এর ফলে শিশুরা সহজে পাঠ আয়ত্ব করতে সক্ষম হবে। শ্রেণি কক্ষে একটি টিভি সেটের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার দিয়ে শিক্ষার্থীরা পাঠ গ্রহণ করতে পারে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আজ ঢাকায় টিএন্ডটি আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিশু শাখায় ডিজিটাল শ্রেণি কক্ষের উদ্বোধন করেন। সংসদ সদস্য আকবর হোসেন ফারুক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি খান আতাউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন,পর্যায়ক্রমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তন করা হবে। এ বছর থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত জাতীয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষম করে গড়ে তোলা হবে। ডিজিটাল ক্লাস রুম উদ্বোধন ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কম্পিউটারে বাংলা ভাষার প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৯৯ সালে মাল্টি মিডিয়া পদ্ধতিতে ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম যখন শুরু হয় তখন মানুষ তা বিশ্বাস করতে পারেনি। দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণার পর পর পাঠ্যপুস্তক ডিজিটালাইজেশনের যাত্রা শুরু হয়। প্রচলিত পাঠ্যক্রমের ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তরের ফলে এখন ছোট্ট শিশুদের কাছে সফটওয়্যারটি জ্ঞানার্জনের বন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আগামী দিনগুলো ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের দিন। শিশু কিশোরদের আগামী দিনের ডিজিটাল বিপ্লবের উপযোগী সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষক অভিভাবসহ শিশু কিশোর সংগঠনসমূহকে আরও সচেষ্ট হতে হবে। তিনি মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুকে অধ্যয়ন এবং তার জীবন ও আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলার প্রস্তুতি গ্রহণে এগিয়ে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের হাতিয়ার হিসেবে দেশের নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন, দেশের শিশু কিশোরদের ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রচলিত শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তর শুরু করেছে। ২০১৮ সাল থেকে আমরা শিশু- কিশোরদের জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শুরু করেছি। আমাদের সন্তানরা এখন এক মাস প্রশিক্ষণ নিয়ে রোবট বানাতে পারে। ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে দেশে অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধি, শিক্ষার হার, নারী উন্নয়নসহ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে গত এগারো বছরের সফলতার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা বিশ্বে এগিয়ে যাওয়ার দৃষ্টান্ত হিসেবে উঠে আসছে।
মন্ত্রী ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বিভিন্ন ইভেন্ট দেখেন এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।