দেশে শহরাঞ্চলে মাত্র ৫০ শতাংশ পরিবারের ইন্টারনেট সুবিধা আছে। গ্রামাঞ্চলে এ সুবিধা আছে মাত্র ৩০ শতাংশ পরিবারের। সারা দেশে মাত্র ১০ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। অন্যদিকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবার দ্রুততার ক্ষেত্রে র্যাংকিংয়ে ১৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৩৪। ফলে শুধু ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তিই নয়, সেবার মানও প্রশ্নসাপেক্ষ।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম পরিচালিত এই জরিপের ফলাফল শনিবার একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় উপস্থাপন করা হয়।
সানেম ও অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জেন্ডার অ্যান্ড ইয়ুথ ইনক্লুসিভনেস ইন টেকনোলজি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সভায় সানেমের রিসার্চ ইকোনমিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মাহতাব উদ্দিন এই জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ ‘অনেক পিছিয়ে আছে’ বলে জানান মাহতাব উদ্দিন। বৈষম্য নিরসনে কম্পিউটার বা মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ভ্যাট ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি বলেন, “দেশে তরুণদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ছেলের মোবাইল ফোন থাকলেও মেয়েদের মধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশের মোবাইল ফোন আছে। সবচেয়ে বেশি আয় করে যে ১০ শতাংশ পরিবার, সেখানে ৯২ শতাংশ তরুণের মোবাইল ফোন আছে। আর সবচেয়ে কম আয় করে যে ১০ শতাংশ, সেখানে ৭২ শতাংশ তরুণের মোবাইল ফোন আছে।
“সবচেয়ে বেশি আয় করা ১০ শতাংশ পরিবারের ৭৩ শতাংশ তরুণীর হাতে মোবাইল ফোন থাকলেও সবচেয়ে কম আয় করা ১০ শতাংশ পরিবারের মাত্র ২৪ শতাংশ তরুণী মোবাইল ফোনের মালিক।”
দরিদ্র ও স্বচ্ছল উভয় ক্ষেত্রেই নারীর চেয়ে পুরুষ মোবাইল ব্যবহারে এগিয়ে আছে বলে জানান তিনি।
কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও বৈষম্য রয়েছে জানিয়ে মাহতাব বলেন, “বাংলাদেশে মাত্র ৬ শতাংশ পরিবারের কম্পিউটার আছে। ৪ শতাংশেরও কম নারী কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্যও বিদ্যমান। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অন্য বিভাগের চেয়ে কম্পিউটার মালিকানা অনেক বেশি।