বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে নবম ডিজিটাল সামিট অনুষ্ঠিত হয়। মেঘনা গ্রুপ ডিজিটাল সামিটের এবারে থিম ছিল ‘উইনিং দ্যা ডিজিটাল এইজ’।
৪টি কিনোট সেশন, ৪টি প্যানেল ডিসকাশন, ২টি ইনসাইট সেশন এবং ১টি কেস স্টাডির সমন্বয়ে এই বছরের ডিজিটাল সামিট পরিচালিত হয়।
দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ বক্তাদের অংশগ্রহণ এবং আলোচনা ও মতামত বিনিময়ের একটি অন্যতম উপলক্ষ হয়ে উঠে নবম ডিজিটাল সামিট।
সামিটটির স্বাগত বক্তব্যেই বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ডিরেক্টর এবং ক্রিয়েটিভ এডিটর নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী বাস্তবতা ডিজিটাল বিশ্বের প্রকৃত সম্ভাবনাকে আমাদের কাছে উন্মোচন করেছে। তাই এখনই উপযুক্ত সময় ডিজিটাল বিশ্বের সুবিধা গুলোকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা। তবে কোনো সুবিধাই কিছু চ্যালেঞ্জ ছাড়া আসে না। তাই বিশেষজ্ঞদের একটি প্রধান দায়িত্ব থাকবে এই চ্যালেঞ্জ গুলোকে সঠিকভাবে মোকাবেলা করা।’
দিনব্যাপী ইভেন্টের বিভিন্ন আলোচনায় প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে ডিজিটালি বিভক্ত এই সময়ে ক্রিয়েটিভিটি এবং স্ট্রাটেজির গুরুত্ব, মার্কেটারের কাজে অ্যাসেট হিসেবে ডেটার গুরুত্ব, দীর্ঘকালীন ইনফ্লুয়েন্সার পার্টনারশিপের অপরিহার্যতা এবং মেটাভার্সে ব্র্যান্ড মার্কেটিংয়ের সমূহ সম্ভাবনা।
প্রাইভেসি নিয়ে আলোচনায় প্রথম কিনোট সেশনে ম্যাথিউ ব্রুনিয়ার বলেন, ‘প্রাইভেসি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, ব্যবহারকারীরা এই ব্যাপারে সচেতন। ৬৪% ব্যবহারকারীই ডেটার বিষয়ে কোম্পানি প্রদেয় তথ্যে নির্ভর করে না। প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োজনীয় ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য ডেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম ২০১৪ সালে ডিজিটাল সামিটের সূচনা করে। ধারাবাহিক সফলতার মাধ্যমে, ডিজিটাল সামিট দেশের ডিজিটাল মার্কেটারদের জন্য শীর্ষ একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। এই বছরের সামিটে ৩৫০ জনেরও বেশি পেশাদার ব্যক্তিত্ব অংশগ্রহণ করেছেন।
এ বছরের সামিটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ড্রাস্টির চ্যালেঞ্জগুলোকে বিশেষজ্ঞ আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরা এবং অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় এই ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ধারা বজায় রাখা।