২০২২ সালে তাইওয়ান থেকে ৫৮ শতাংশ সেমিকন্ডাক্টর আমদানি করেছে জাপান। ২০২১ সালের তুলনায় যা আড়াই গুণ বেশি। সে হিসেবে প্রযুক্তি খাতে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহকারী হিসেবে এখনো শীর্ষস্থানে রয়েছে তাইওয়ান। সম্প্রতি দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর তাইপে টাইমস।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, তাইওয়ান থেকে জাপানে সেমিকন্ডাক্টরের রফতানি মূল্য ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। বার্ষিক হিসেবে যা ৩২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। দেশটিতে সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহের দিক থেকে অন্যদের তুলনায় এগিয়ে আছে তাইওয়ান। এর প্রতিযোগী দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হিস্যা ৮ দশমিক ৫ শতাংশ, চীনের ৮ দশমিক ৩ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানে রফতানি বাড়ার পেছনে মূলত অটোমোটিভ খাতে চিপ ও ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের চাহিদা এবং ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। গত বছর তাইওয়ানের মোট রফতানির ৪৭ শতাংশই ছিল সেমিকন্ডাক্টরকেন্দ্রিক। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। তবে জাপানে রফতানি বৃদ্ধির গতি বার্ষিক হিসেবে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালে যার হার ছিল ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এর জন্য ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ও ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে মন্ত্রণালয়।
গত বছর জাপানে স্টোরেজ মিডিয়া ও পলিফরমালডিহাইড পণ্য সরবরাহকারী হিসেবে শীর্ষে ছিল তাইওয়ান। তাইওয়ান থেকে স্টোরেজ মিডিয়া রফতানি মূল্য দাঁড়িয়েছিল ১০৮ কোটি ডলারে। অন্যদিকে জাপানে পলিফরমালডিহাইড পণ্যের রফতানি মূল্য ৯৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ২০২২ সালে তাইওয়ান জাপানের কাছে ৬২ কোটি ডলার মূল্যের কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইস বিক্রি করেছে। অন্যদিকে তাইওয়ান জাপান থেকে একই সময়ে ৫ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ কম।
জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, জাপানে আমদানির সবচেয়ে প্রচলিত পণ্য ছিল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, যা মোট আমদানির ১৭ দশমিক ১ শতাংশ। তবে এক বছরের মধ্যে তা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৯৩৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
গত বছর জাপানে সবচেয়ে বেশি ওয়াফার সরবরাহ করেছে তাইওয়ান। যার মোট হার ৪৫ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে চীন ২১ দশমিক ৯, জার্মানি ৮ ও সিঙ্গাপুর ৬ দশমিক ৪ শতাংশ ওয়াফার সরবরাহ করেছে। সেমিকন্ডাক্টর তৈরিতে মূলত ওয়াফার ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে তাইওয়ানে সেমিকন্ডাক্টর ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দিক থেকে শীর্ষে ছিল নেদারল্যান্ডস। গত বছর এর হার ছিল ২৯ শতাংশ।