দৈনন্দিন নানা কাজের পাশাপাশি পেশাদার কাজের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ল্যাপটপের ব্যবহার বেড়েছে। গ্রাহকদের কাজের ধরন অনুযায়ী বাজারেও আসছে নতুন ফিচারের বিশেষ কিছু ল্যাপটপ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেকেন্ডারি বা দুটি ডিসপ্লেসহ মাল্টিটাস্কিং উপযোগী ল্যাপটপ ‘জেনবুক প্রো ১৪ ডুয়ো’ এনেছে ল্যাপটপ ব্রান্ড আসুস। নির্মাতাদের দাবি, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ভিডিও এডিটিং, গ্র্যাফিকস ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো কাজের উপযোগী করে ল্যাপটপটিতে বিশেষ কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।
মাল্টিটাস্কিং: কনটেন্ট ক্রিয়েটর, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সারকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একই সঙ্গে একাধিক কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ল্যাপটপের সেকেন্ডারি ডিসপ্লে কাজগুলোকে আরো বেশি সহজ করে দেয়। এর মাধ্যমে একজন ভিডিও এডিটর চাইলে ল্যাপটপের একটি ডিসপ্লেতে ভিডিও রেন্ডারিংয়ের কাজ চলাকালীন আরেকটি ডিসপ্লেতে অন্য একটি কাজ করতে পারেন। আবার কাজের পাশাপাশি ভিডিও দেখা, অথবা লেখালেখির মতো কাজও এতে করা যায় অনায়াসে। এছাড়া ফটোশপের কাজের জন্য এর সেকেন্ডারি ডিসপ্লেটিকে কন্ট্রোল প্যানেল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ল্যাপটপটির কীবোর্ডে ব্যাকলিট ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে। কীবোর্ডের পাশে একটি ট্র্যাকপ্যাড ও এর সঙ্গে রয়েছে দুটি ডেডিকেটেড বাটন। এছাড়া ল্যাপটপটির সঙ্গে আসুসের একটি স্টাইলাস পেন রয়েছে।
কর্মক্ষমতা: কনটেন্ট নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলোকে কর্মক্ষম হতে হয়। আসুসের জেনবুক সংস্করণটির প্রসেসর, সিপিউ ও জিপিউর সমন্বয় সেটির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। কেননা ল্যাপটপটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ইন্টেলের ১২ জেনারেশনের কোরআই৭-১২৭০০এইচ প্রসেসর। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে আছে উইন্ডোজ ১১। এছাড়া দ্রুত গরম হয়ে যাওয়া রোধে ল্যাপটপটিতে দুটি কুলার ফ্যান সংযুক্ত রয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে ১৬ জিবি এলপিডিডিআর৫ র্যাম।
ডিজাইন ও ডিসপ্লে: ল্যাপটপটি কালো ও নেভি ব্লু রঙের মিশ্রণে একটি ভিন্ন কালারের ডিজাইন করা হয়েছে, যা টেক ব্ল্যাক নামে পরিচিত। ল্যাপটপটির ওজন ১ কেজি ৭৫০ গ্রাম। এতে মূল ডিসপ্লে ছাড়াও একটি সেকেন্ডারি ডিসপ্লে যুক্ত করা হয়েছে। সেকেন্ডারি ‘স্ক্রিনপ্যাড’ ডিসপ্লেটি ম্যাট অ্যান্টি-গ্লেয়ারের একটি আইপিএস টাচ প্যানেল। এটি আকারে ১২ দশমিক ৭ ইঞ্চি। অপরদিকে ল্যাপটপটির প্রাইমারি ডিসপ্লেটি ওএলইডি, যা আকারে ১৪ দশমিক ৫ ইঞ্চি। ডিসপ্লেটি প্রায় ১৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত প্রসারিত করা যায়। দুটি ডিসপ্লেকেই টাচস্ক্রিন হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
সাউন্ড সিস্টেম ও ব্যাটারি: ল্যাপটপটিতে হারমান কার্ডন প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম ও ৭৬ ওয়াট-আওআরস ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সংযুক্ত রয়েছে। ৩০ মিনিটের মধ্যে এতে প্রায় ৫০ শতাংশ চার্জ হয়। মাঝারি ধরনের কাজ করলে এর ব্যাটারি থাকে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা।
দাম: গ্র্যাফিকস অনুযায়ী ল্যাপটপটি দুটি ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে। এর প্রথমটি ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল আইরিস এক্সই গ্র্যাফিকস, যার মধ্যে রয়েছে ১ টেরাবাইটের এসএসডি। এ ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৯৯০ টাকা। আরেকটি ভার্সনে রয়েছে ডেডিকেটেড ৪ জিবি এনভিডিয়া জিইফোর্স আরটিএক্স ৩০৫০ গ্র্যাফিকস। এতে রয়েছে ৫১২ গিগাবাইটের এসএসডি। ল্যাপটপটির দাম ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯০ টাকা।