ওয়্যারেবলের মধ্যে বর্তমানে স্মার্টওয়াচের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গ্রাহকের পছন্দ ও চাহিদানুযায়ী প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মডেল বাজারে আনছে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। এদিক থেকে অ্যাপল ওয়াচের জনপ্রিয়তা সবার ওপরে। তবে সেলফোনের পাশাপাশি ওয়াচ কেনার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। খবর অ্যাপওয়াচলিস্ট।
প্রথমেই অ্যাপলের স্মার্টওয়াচের ব্যাটারির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। আইফোনের মতো এর ব্যাটারি হেলথও দেখা যায়। এটি প্রায় ৮০ শতাংশ বা তার বেশি আছে কিনা তা দেখতে হবে। যদি ব্যাটারি চার্জের শতাংশ খুব কম হয়, তাহলে বুঝতে হবে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো নয়।
ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে জানতে সেটিংসে গিয়ে ব্যাটারি অপশনে প্রবেশ করতে হবে। সেখান থেকে ব্যাটারির অবস্থা দেখে নেয়া যাবে।
পরিবারের কোনো সদস্য বা পরিচিতজনের কাছ থেকে স্মার্টওয়াচটি নিয়ে থাকেন, বিল রসিদ দেখতে হবে। সেই সঙ্গে বাক্স এবং এতে লেখা সিরিয়াল নম্বর পরীক্ষা করতে হবে।
অনলাইন থেকে কেনা হয়ে থাকলে ডেলিভারি নেয়ার আগে স্মার্টওয়াচের সিরিয়াল নম্বরটি দেখতে হবে। আবার অনলাইনেও ওয়াচের সিরিয়াল নম্বরটি মিলিয়ে দেখা যায়।
সার্টিফায়েড জায়গা থেকে সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টওয়াচ কিনতে হবে। অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইটেও সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টওয়াচ বিক্রি করা হয়। চাইলে সেখান থেকেও পছন্দের ডিভাইস কেনা যাবে। তবে সেগুলো আসল কিনা যাচাই করে দেখতে হবে।
অ্যাপল ওয়াচের চার্জার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ডিভাইসের সঙ্গে চার্জার দেয়া হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া সেকেন্ড হ্যান্ড ডিভাইস কেনার আগে একই মডেলের নতুন অ্যাপল ওয়াচের বাজারমূল্য কত সেটি জেনে নিতে হবে। এতে করে দাম নির্ধারণ সহজ হয়।
সবশেষে ডিভাইসের স্পিকার এবং মাইক্রোফোন পরীক্ষা করে নিতে হবে। অনলাইনে ব্যবহৃত অ্যাপল ওয়াচ কেনার সময় এটি পরীক্ষা করা কঠিন হলেও, এটি ডেলিভারি নেয়ার সময় অবশ্যই পরীক্ষা করে নেয়া প্রয়োজন।