গুগলের ডিপমাইন্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা সুলেমান আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বিভাগের প্রধান হিসেবে মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন।
২০২২ সালে গুগল ছেড়ে ইনফ্লেকশন এআই-এর প্রতিষ্ঠা করেন সুলেমান। ইনফ্লেকশন জনপ্রিয় এআই চ্যাটবট পাই এবং জেনারেটিভ এআই-এর জন্য হার্ডওয়্যার তৈরি করতে এনভিডিয়ারকে সাহায্য করেছে। পরে সুলেমানের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, এবং বিলিয়নেয়ার রিড হফম্যান (যিনি একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতাও), বিল গেটস এবং এরিক শ্মিডট।
শুধু মোস্তফা সুলেমানই নন, ইনফ্লেকশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিজ্ঞানী কারেন সিনোমিয়ানও মাইক্রোসফট এআই-এর প্রধান বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন।
মার্কিন সংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, সুলেমানের নেতৃত্বে মাইক্রোসফট প্রথমবার সব কনজিউমার এআই প্রোজেক্টকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। উইন্ডোজে এআই কপিটল একত্রীকরণ ও কোম্পানির বিং সার্চ ইঞ্জিনে কথোপকথন উপাদান যুক্ত করার মতো কাজের দেখভাল করবেন তিনি।
গুগল ডিপমাইন্ডে কী করতেন মোস্তফা সুলেমান?
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডিপমাইন্ড। সুলেমান এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং অ্যাপ্লায়েড এআই-এর প্রধান ছিলেন। ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এআই-এর প্রতিশ্রুতি ও প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় নৈতিক সুরক্ষা নিয়ে বিভিন্ন ইভেন্টে বক্তব্য পেশ করতেন সুলেমান। ২০১৪ সালে গুগল ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করে। এরপর গুগলের সব পণ্যে এআই প্রযুক্তি সংযোগ এবং শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার দায়িত্ব ছিল সুলেমানের কাঁধে।
কে এই মোস্তফা সুলেমান?
রূপকথার মতো জীবন সুলেমানের। বাবা সিরিয়ান বংশোদ্ভূত ট্যাক্সি চালক। মা ব্রিটিশ। তিনি নার্সের কাজ করতেন। লন্ডনের ইসলিংটন বরোতে বেড়ে উঠেছেন সুলেমান।
দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনার জন্য অক্সফোর্ডে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে সব ছেড়ে ‘মুসলিম ইয়ুথ হেল্পলাইন’ চালু করেন। এটি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান। ২২ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের তৎকালীন মেয়র কেন লিভিংস্টোনকে মানবাধিকার নীতি নিয়ে পরামর্শদানের কাজ করতেন। তবে এর আগে তার মনে হয়েছিল, সরকার ‘আমূল পদ্ধতিগত পরিবর্তন’ প্রচারের সেরা মাধ্যম নয়।