আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট সংসদে উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে আয়কর-ভ্যাটে দুই ডজনের বেশি নতুন প্রস্তাব দেবেন তিনি। কিছুক্ষেত্রে বাতিল হচ্ছে কর অব্যাহতি, আবার কোনো কোনো খাতে বাড়বে। থাকছে কালো টাকা সাদা করার অভূতপূর্ব সুযোগ। দুটি ক্ষেত্রে কমবে করপোরেট কর। বাড়বে মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেটে সম্পূরক শুল্ক।
বর্তমানে ডিজিটাল পরিষেবা হিসেবে ২৭টি উপখাত স্বীকৃত। এই অর্থবছরে শেষ হচ্ছে এসব সেবায় কর অব্যাহতি সুবিধা। আসছে বাজেটে সেবার সংখ্যা কমিয়ে ১৯টি করা হচ্ছে। কর অব্যাহতি মিলবে আরও তিন বছর। তবে সুবিধা পেতে হলে নগদ টাকায় কোনো লেনদেন করতে পারবে না কোম্পানিগুলো।
অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানি ও এক ব্যক্তির কোম্পানির করপোরেট কর কমছে আড়াই শতাংশ। করপোরেট করের প্রস্তাবিত বিধান ২০২৫-২৬ অর্থবছরেও বহাল রাখার প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী প্রস্তাব করবেন, শেয়ারবাজারে লেনদেনে ৫০ লাখ টাকার বেশি আয়ে দিতে হবে গেইন ট্যাক্স।
বর্তমানে ফুল ও ফল আমদানিতে উৎসে কর পাঁচ শতাংশ। আগামী অর্থবছর যা বেড়ে হচ্ছে ১০ শতাংশ। বেসরকারি হাই-টেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর অব্যাহতি বাতিল করার প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। তবে বহাল থাকবে সরকারি হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধা। এ ছাড়া নিত্যপণ্য সরবরাহে উৎসে কর কমিয়ে অর্ধেক করার প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বাজেটে সব স্তরেই সিগারেটের দাম ও সম্পূরক শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০ শতাংশ, কোমল পানীয়ের সম্পূরক শুল্ক পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে। মোবাইলে কথা বলায় ও ইন্টারনেটে সম্পূরক শুল্ক পাঁচ ভাগ বাড়বে। এক শ টাকা ভ্যাট বাড়বে মোবাইল সিমে।
আনন্দ বিনোদনে বাড়বে ভ্যাটের বোঝা। অ্যামিউজমেন্ট ও থিম পার্কে ভ্যাট দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেবেন অর্থমন্ত্রী। বাতিল হবে ট্যুর অপারেটরের ভ্যাট অব্যাহতি।
ভ্যাটের বোঝা বাড়বে দেশীয় উৎপাদনে। এসি উৎপাদনে ভ্যাট বসবে সাড়ে সাত শতাংশ, ফ্রিজ উৎপাদনে বাড়বে ২.৫ শতাংশ। তবে মোবাইল, ন্যাপকিন, ডায়াপার, এলপিজি সিলিন্ডার উৎপাদনে রেয়াতি ভ্যাট সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেবেন অর্থমন্ত্রী।