কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চিপ রপ্তানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেওয়ার কয়েকদিন পর, বাইডেন প্রশাসন আরও ১৪টি চীনা প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
এই তালিকার সবচেয়ে আলোচিত নাম হলো সোফগো, যা বিটমেইনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক শিরোনামে উঠে আসে, যখন এটি চীনের প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং তাইওয়ানের চিপ নির্মাতা টিএসএমসির মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়।
ডিসেম্বরে সন্দেহ সৃষ্টি হয় যে, হুয়াওয়ের আসেন্ড ৯১০বি এআই প্রসেসরের একটি চিপ সোফগোর মাধ্যমে টিএসএমসি থেকে কেনা হয় বলে জানা যায়। সেই সময় বাইডেন প্রশাসন সোফগোকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল, যা এখন কার্যকর করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ বাইডেন প্রশাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই এসেছে। এআই সংক্রান্ত “ইন্টারিম ফাইনাল রুল অন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডিফিউশন” নীতি নিয়ে শিল্পখাতের তীব্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। আমেরিকান সিলিকন এআই জায়ান্ট এনভিডিয়া (এনভিডিয়া) এই পদক্ষেপকে “ভুল ধারণাপ্রসূত” বলে উল্লেখ করেছে।
এক বিবৃতিতে এনভিডিয়া জানিয়েছে, “প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় এআই নীতি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। কিন্তু বাইডেন প্রশাসন তাদের শেষ দিনগুলোতে আমেরিকার প্রযুক্তিগত নেতৃত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। ২০০ পৃষ্ঠার এই নীতি আমেরিকার সেমিকন্ডাক্টর, কম্পিউটার এবং সফটওয়্যার নকশার ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে। এটি প্রতিযোগিতা দমন করে উদ্ভাবনের গতি স্তব্ধ করবে”।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ই হুয়াওয়েকে আমেরিকান প্রযুক্তি ব্যবহার থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং কোয়ালকম চিপের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। তবে বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ কীভাবে কার্যকর হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়, কারণ পরবর্তী প্রশাসন চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে এবং এআই প্রতিযোগিতায় আমেরিকার উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।