ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলায় নববর্ষের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি দুটি মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সিসিটিভি’র ফুটেজ থেকে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে দোষি ব্যক্তিকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজিটাল ফরেনসিক এক্সপার্ট তানভীর জোহা।
সিসিটিভি ফুটেছে দেখাগেছে কালো রঙের টি-শার্ট, মুখে মাস্ক ও বাদামী প্যান্ট পড়া এবং মাথায় ঝুটি বাঁধা এক যুবক দেয়াল টপকে চারুকলার ভেতরে প্রবেশ করে এবং ২ মিনিট পর বের হয়ে যায়। এর মধ্যে কুকর ডেকে ওঠে। ওই যুবক তা ভ্রুক্ষেপ না করে সামিয়ানার ভেতরে থাকা ফ্যাসিবাদের মোটিফের দিকে যায়। সেখান থেকে বের হয়ে এসে একটি লাইটার জ্বালায়। এরপর আবার সেখানে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই ফ্যাসিস্ট মোটিফের মুখে আগুন দিয়ে ভোঁ দৌড়। তবে মুখে মাস্ক থাকায় তাকে পুরোপুরি চেনা যাচ্ছিল রাতের সোডিয়াম আলোয়। কিন্তু এআই প্রযুক্তিতে সহজেই চেনা গেছে দুর্বৃত্তকে।
এ নিয়ে রবিবার রাতে (১৩ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতিতে আগুন দেয়া ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। তার নাম রবিউল ইসলাম রাকিব। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আগে সে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো।
আর ডিএমপি কমিশনার এস এম সাজ্জাদ আলী জানিয়েছেন, আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শোভাযাত্রা শুরুর আগেই নববর্ষের শোভাযাত্রা উদযাপনের জন্য তৈরি দুটি ‘মোটিফে’ আগুন দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরে ঢাবির চারুকলা অনুষদের সামনে ‘ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি’ মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শান্তির পায়রা মোটিফটিও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।