বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি ৭৫ লাখ। এই বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারে দুর্ভোগের শেষ নেই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রাহকের ডাটা আছে গতি নাই।
গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশেনর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এই বিষয়ে বলেন, গ্রাহকরা আজ চরমভাবে প্রতারিত হচ্ছে ইন্টারনেট ডাটা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে। আমরা যখন অবহেলিত ডাটা ফেরত দেওয়ার জন্য আবেদন করলাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার নির্দেশ দিলেন গত আগস্ট থেকে ডাটা ফেরত দিতে হবে। কিছু কিছু গ্রাহক অবহেলিত ডাটা ফেরত পেলেও অধিকাংশ গ্রাহক অপব্যবহৃত ডাটা ফেরত পায়নি।
জ্বালানি সংকট ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে জানিয়েছে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের সাথে নতুন করে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে ইন্টারনেট, বেশিরভাগ গ্রাহকের ডাটা থাকা সত্ত্বেও গতি না থাকার কারণে গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উচ্চমূল্য মোবাইল ইন্টারনেট কিনেও গ্রাহত ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপ কলে কথা বলতে গিয়ে গতি পান না। ২০১৭ থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত অভিযোগ গ্রহণ করছে না। বিটিআরসির কাছে হাজার হাজার অভিযোগ থাকলেও নিষ্পত্তি করতে কমিশন ব্যর্থ হয়, গ্রাহকদের কমিশনের প্রতি আস্থা কমে গেছে। এই অবস্থায় গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ নিয়ে যাবে কোথায়? আপেক্ষ করে বলেন, বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশেনর সভাপতি।
গ্রাহক স্বার্থ রক্ষায় এই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মহিউদ্দিন।