ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব মোবাইল ইন্টারনেটের দাম যৌক্তিকভাবে কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে অপারেটরদের প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে ছাড় দিয়েছে, এখন সময় এসেছে অপারেটরদের জনস্বার্থে সেই সুবিধার প্রতিফলন ঘটানোর।
সরকারের দেওয়া সুবিধা ও বাস্তবতা
সোমবার নিজের ফেইসবুক পোস্টে তৈয়্যব জানান, “সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (Dense Wavelength Division Multiplexing) ও ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে ইন্টারনেটের পাইকারি মূল্যও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে।”
তার ভাষায়, “এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনও যৌক্তিক কারণ অবশিষ্ট থাকে না।”
তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা
ফাইবার অ্যাট হোম ইতোমধ্যে আইটিসি ও ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে:
-
আইটিসি পর্যায়ে: ১০%
-
আইআইজি পর্যায়ে: ১০%
-
এনটিটিএন পর্যায়ে: ১৫%
এই ঘোষণার সঙ্গে একমত পোষণ করে তৈয়্যব আহমদ বলেন, “এখন সময় বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের—তারা যেন নিজ উদ্যোগে এই মূল্যছাড় গ্রাহকের কাছেও পৌঁছে দেয়।”
আইএসপিদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ
এর আগে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি আইআইজি ও আইএসপিদের জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় ঘোষণা করেছে।
মোবাইল কোম্পানিগুলোর প্রতিক্রিয়া
এই প্রসঙ্গে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে আংকিত সুরেকা বলেন, “ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে—স্পেকট্রাম, টাওয়ার, ফাইবার, বিদ্যুৎ খরচ ইত্যাদি। তবুও গ্রাহকের স্বার্থে আমরা বিষয়টি মূল্যায়ন করছি।”
রবি ও বাংলালিংকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
জনস্বার্থে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট
তৈয়্যব আহমদের মতে, “বর্তমানে দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। সরকার চায় এই বৈষম্য দূর হোক এবং গ্রাহকরা যেন সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের ইন্টারনেট সেবা পান।”
তিনি আশাবাদী, শিগগিরই তিনটি বড় মোবাইল অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক—ইন্টারনেটের দাম যৌক্তিকভাবে কমানোর ঘোষণা দেবে।